অবতক-এর বিশেষ প্রতিবেদন

বিবস্ত্র শব্দটির দিকে ঝুঁকে আছি
তমাল সাহা

তারপর যা ঘটবার তাই ঘটলো।
আকাশ বাতাস চুপচাপ দেখল। হাটখোলা মানুষ দাঁড়িয়ে রইলৃ এখন শহরগঞ্জে একটা কথা খুবই চালু রয়েছে, অত অস্থির হয়োনা, ধৈর্য ধর। অত জোরে কথা বলো কেন? শব্দ তো নিঃশব্দতা জানে!

সেদিন ছিল মঙ্গলবার ১৮ জুলাই ২০২৩। মালদহের বামনগোলা পাকুয়াহাট। আমি জানিনা হাটের সঙ্গে মঙ্গলের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা অথবা মঙ্গলবারে হাট বসে বলেই কি তার নাম মঙ্গলাহাট?

অভিযোগ, মহিলা দুইজন চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। থাকে মানিকচক গ্রামে। অভিযুক্ত নারীরা বলে, তারা হাটে লেবু বিক্রি করতে এসেছিল। রাজ্যের এক মন্ত্রী বলেছে, দুই এই দুই মহিলার চোর ছিল। মহিলারাই তাদের ধরে। ধস্তাধস্তি হয়। তখন পোশাক খুলে যায়। এটা মহিলাদের বিষয়।

তা যা হোক তাদের নগ্ন করে বিবস্ত্র করে মারধর চড়চাপড় জুতোপেটা করা হয়। এটা যে সত্যি সেটা সবাই বলছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিভিক পুলিশের সামনে পাকুয়াহাট থেকে পুলিশ ফাঁড়ির দূরত্ব ১০০ মিটার।

বাতাস বলে বোবার কোনো শত্রু নেই। তবুও বলছি মানুষ খুব অসভ্য হয়ে গিয়েছে। নগ্ন করা, বিবস্ত্র করার দিকে তাদের ঝোঁক খুব বেড়ে গিয়েছে। এই উপত্যকায় পুরুষরা চোর হলে মেয়েরা চোর হতে পারবে না?
প্রদেশে কত বড় মহিলা চোর আছে পুলিশ জানে! পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করুক দেখি, কত হিম্মৎ!

বাতাসকে বলি, এমন বলছ কেন? সে বলে, অভিযুক্ত মহিলাদে বিবস্ত্র করে জুতোপেটা করা হলো। আর পুলিশ তাদেরই গ্রেপ্তার করলো পুলিশ!

রাষ্ট্র উভলিঙ্গ হতে পারে। এই দেশের রাষ্ট্র উলঙ্গ। তার ভেতরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সব বেরিয়ে পড়েছে। দেখতে দেখতে আমাদের সহ্য হয়ে গিয়েছে।

পাহাড়ের মত স্থিতধী ও মৌন হও!