অবতক খবর,২৯ মে: শুভ্রাংশু রায়ের আজকের ফেসবুক পোস্ট আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায় তুফান তুলেছে। বিভিন্ন মিডিয়া এই নিয়ে আলোচনা করছে। ‌এই পোস্ট বিশ্লেষণ করে বোঝা যাচ্ছে যে, তিনি মেনে নিচ্ছেন জনগণের সমর্থনে তৃণমূল সরকার গঠিত হয়েছে এবং সেই সরকারকে সমালোচনা করার আগে বিজেপির রাজ্য দলের আত্মসমালোচনা করা উচিত বলে তিনি মনে করছেন। এইরকমই পোস্টটির মর্মার্থ।

অন্যদিকে তৃণমূলের বিশিষ্ট নেতা এবং কর্মীরা এতে ক্ষুব্ধ। তারা বলতে চাইছেন যে,তিনি তাঁর দলবদলু এই যে শীলমোহরটি তিনি তাঁর গায়ে পাকাপাকিভাবে লাগিয়ে রাখতে চান। তাঁর এই পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে তিনি বিজেপির প্রতি বীতশ্রদ্ধ। এই মনোভাব দেখিয়ে তিনি তাঁর পুরনো দলে ফিরে আসতে চাইছেন। একজন প্রকৃত নেতার চরিত্র এমন হওয়া উচিত নয় বলে তাঁর দলের লোকেরাই মনে করছেন। সেই সঙ্গে তারা বলতে চাইছেন যে, তিনি অত্যন্ত ক্ষমতালোভী। নাহলে বারবার তিনি দলবদল করবেন কেন? বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে আসতে চাইবেন কেন? এমনিতেই তিনি তিনি তৃণমূলের উপর বীতশ্রদ্ধ ছিলেন। এখন আবার কি কান্ড ঘটলো যে তিনি বিজেপি দল পরিত্যাগ করতে চাইছেন। বিজেপি তো তাঁর প্রতি কোনো খারাপ ব্যবহারও করেনি! অর্থাৎ তিনি ক্ষমতালোভী।

আসলে তিনি কি করতে চাইছেন, তাঁর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কি? তা তিনি জানেন। বিরোধী দলের নেতারা অনেকে বলছেন, এসব ক্ষমতালোভী দল। বিজেপি আর তৃণমূলে কোন পার্থক্য নেই। ডোর ওপেন। যে যখন ইচ্ছা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যেতে পারে, আবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসতে পারে। এমনই এই দুটি দল ভারতবর্ষে সৃষ্টি হয়েছে। তারা সমস্ত রাজনীতিকেই গোলমাল করে দিচ্ছে। মানুষের রাজনৈতিক চেতনা প্রবাহকেই উল্টো খাতে বইয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। এটা ভারতবর্ষের বিশেষ করে বাংলার মতো সংস্কৃতিমনস্ক এই যে রাজ্য তার কাছে এটা দুঃখবহ এবং দুর্ভাগ্যজনক।

রাজনীতি যে রীতিমতো পেশা এবং পণ্যে পরিণত হয়েছে, রাজনীতি করে যে সংসার চালানো যায় তাই এই নেতারা প্রমাণ করছেন এবং রাজনীতিকে কামাইবাজির স্থানে নিয়ে গিয়েছেন। এখন অদূর ভবিষ্যৎ বলতে পারে হঠাৎ করে শুভ্রাংশু রায়ের এই পোস্টের মধ্যে কোন রহস্য আছে?

আবার তৃণমূল দল থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, তিনি এখন তৃণমূল দলে ফিরে কি করবেন? কোন উন্নতিটিই বা করবেন? আর তৃণমূলেরই বা তাঁকে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে কিনা,এ নিয়েও দলীয় কর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন।