অবতক খবর :: ইসলামপুর ::    বিদ্যালয়ে চাল ও আলু বন্টন নিয়ে দুর্নীতির খবর পেয়ে তা সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকার রোষের শিকার হতে হল সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিনিধিকে। শুধু তাই নয়, তার মোবাইল ছুঁড়ে ফেলে ভেঙেও দেওয়া হলো। এমনই অভিযোগ উঠেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রামগঞ্জ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অপর্ণা সুরের বিরুদ্ধে ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশর অভিযোগ, সঠিক ভাবে চাল ও আলু বন্টন হচ্ছে না। শুধু তা-ই নয় সেখানে যেমন সামাজিক দূরত্ব মেনে বন্টন করা হচ্ছে না তেমনি অধিকাংশ অভিভাবক অভিভাবিকা মুখে মাক্স পরে আসেননি। ব্যবহার হয়নি স্যানিটাইজার। এমনকি খোদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিজেও মাক্স ব্যবহার করেননি। এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে ইসলামপুর মহকুমা প্রেস ক্লাব এবং উত্তর দিনাজপুর প্রেসক্লাব। এ বিষয়ে ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইসলামপুর মহকুমা প্রেস ক্লাবের তরফে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি তুষার কান্তি বিশ্বাস।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে উত্তর দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সম্পাদক অলিপ মিত্র জানিয়েছেন, এ বিষয়ে জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনার কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছেন। এমনকি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা যেমন দুর্ব্যবহার করলেন সভ্য মানুষের কাছ থেকে আদৌ কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন অলিপ বাবু। চাল বন্টন প্রক্রিয়া যদি সঠিকভাবেই হয়ে থাকে তবে কেন প্রধান শিক্ষিকা এভাবে উদ্ধত্যপূর্ণ ভাবে বাধা দিতে এলেন বলেও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

প্রত্যক্ষদর্শী খগেন বসাক সহ আরও অন্যান্য বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন আচমকা প্রধান শিক্ষিকা অশ্রাব্য ভাষায় কটু কথা বলতে বলতে আচমকা ওই সাংবাদিকের হাত থেকে মোবাইল নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিলেন। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যদিও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা অপর্ণা সুর জানিয়েছেন, সঠিকভাবেই এদিন সকাল থেকেই চাল ও আলু বন্টনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তা চলছিল খুব ভালোভাবেই। সাংবাদিক দের সমস্ত অভিযোগ তিনি নস্যাৎ করে দিয়ে বলেন, সামাজিক দূরত্ব মেনে সঠিকভাবে চাল বন্টন করা হচ্ছিল। এখানে কোনও বিষয়েই কোন অভিযোগ থাকার কথা নয়। এমনকি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যা করার করে নিক তারা।

এবিষয়ে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, সংবাদ মাধ্যমের যে সমস্ত প্রতিনিধিরা সংবাদ সংগ্রহ করতে আসেন সেখানে দেখা হওয়ার পর তাদের সঙ্গে সামান্য সৌজন্যমূলক ব্যবহার টুকু করেননি প্রধান শিক্ষিকা। সাংবাদিকদের দেখে তিনি প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বলেও অভিযোগ। এমনকি গত মাসে যে চাল ও আলু বন্টন হয়েছিল তা সঠিকভাবে নিয়ম মেনে হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা।