অবতক খবর,১৪ মার্চ,নদীয়া:- আজ সেই বিখ্যাত দিন। মানবকল্যাণে দুই দৃশ্যমান দেবতার, আবির্ভাব এবং তিরোধান দিবস। প্রথমজন বিশ্ব বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক স্টিভেন হকিং এর আজ তাঁর চতুর্থবর্ষ প্রয়াণ। ১৪ ই মার্চ ২০১৮ সালে তাঁর প্রাণ ঘটে। গ্যালিলিওর জন্মের ঠিক 300 বছর পরে 1942 সালের 8 ই জানুয়ারি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অভাবী পরিবার হলেও বাবা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি অর্থনীতি এবং দর্শনের ছাত্র।

মাত্র কুড়ি বছর বয়সে মোটর নিউরন নামক মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হন তিনি। সেই থেকে আজন্ম হুইল চেয়ারে বসেই জয় করেছেন সারা বিশ্ব, এতটুকু শারীরিক দুর্বলতা গ্রাস করতে পারেননি তার বিজ্ঞান চর্চাকে। আপেক্ষিকতাবাদ কোয়ান্টাম তত্ত্ব এবং মহা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অজস্র ক্ষুদ্র কণা ও তাদের চরিত্র সম্পর্কে গবেষণার ফল তাঁর ব্ল্যাক হোলের উপর থিওরি হকিংন্স রেডিয়েশন আজও অদ্বিতীয়। তার রচিত আ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম বইটির শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষাতেই বিক্রি হয়েছে এক কোটির উপরে, পরবর্তীতে পঁয়ত্রিশটি ভাষায় আরো কয়েক কোটি। 76 বছর পর্যন্ত জীবনে তিনি বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন কয়েক আলোকবর্ষ পথ। রাজনৈতিক অনাচার ব্যভিচারেও তিনি ছিলেন প্রতিবাদী।

দ্বিতীয়জন পদার্থবিদ্যায় নোবেল এবং, বার্নার্ড পদক জয়ী জার্মানি বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন। যিনি একমাত্র বিজ্ঞানী মস্তিষ্ক পর্যন্ত গবেষণা করা হয়েছে। আজ তাঁর 144 তম আবির্ভাব দিবস। আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব বল বিজ্ঞান ও তড়িৎ চুম্বকত্বকে একীভূত করে নতুন মহাকর্ষ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। যা আজও সমাদৃত। তিনি ছিলেন প্রতিবাদমুখর রাজনীতি হোক বা ধর্মীয় অথবা সামাজিক বিজ্ঞান কে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন তিনি। নাৎসি বাহিনীর সাধারণ মানুষের প্রতি অত্যাচারে তিনি সোচ্চার ছিলেন প্রতিবাদে। আইনস্টাইনের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে আমেরিকা নাগাসাকি ও হিরোশিমাতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় তার তীব্র সমালোচনা করতে কুন্ঠাবোধ করেন তিনি। বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু মহামানব বলে আখ্যায়িত করেছেন তাঁকে এবং তাঁর পথ অনুসরণ করেই বিজ্ঞান সাধনা করেছেন।
এই দুই বিশ্ববরেণ্য কে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই আমাদের সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে।