অবতক খবর,১৪ মার্চ: নদিয়া হরিণঘাটা থানার অন্তর্গত মোল্লাবেলিয়া অঞ্চলের বামুনপাড়া ইটভাটা এলাকার বাসিন্দা শম্ভু পন্ডিত ওরফে অমিত পন্ডিত। উল্লেখ্য, যখন এই শম্ভু পণ্ডিত ধরা পড়ে পুলিশের হাতে, তখন কিন্তু সে তার নাম শম্ভু পণ্ডিত বলে জানায়। কিন্তু পরবর্তীতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তার আসল নাম অমিত পন্ডিত। সুতরাং নাম পরিবর্তন করে সে প্রথমে পুলিশকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল।

স্থানীয় সূত্রে এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এই অমিত পন্ডিত দীর্ঘদিন গান-বাজনার পেশায় এবং ড্রাইভারির পেশায় যুক্ত ছিল।‌ পরবর্তীকালে সে বিজেপিতে যোগ দেয়। যদিও তেমন প্রভাবশালী ছিল না অমিত। বাড়ির ছোট ছেলে সে। এছাড়াও তাঁর বাড়িতে রয়েছে তিন বোন এবং দুই ভাই। বড় ভাই গত হয়েছে। অর্থাৎ সংসারের হাল ছিল এই অমিতের উপরেই। মাঝে কোভিদ পরিস্থিতির কারণে অমিত অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত হয়ে পড়ে। যদিও তার পরিবার এ বিষয়ে কোনো খোঁজ খবরই রাখতো না এবং সেও কখনো পরিবারকে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।

তবে পরিবারের থেকে জানা গেছে, সে ছয়-সাত মাস পর পর বাড়িতে আসতো। এ ব্যাপারে পরিবারের লোকেরা কিছু জিজ্ঞাসা করলেই সে বলত, কাজের সূত্রে সে বাইরে ছিল এতদিন। বিধানসভা নির্বাচনের পর স্থানীয় কিছু নেতাদের মতে তার অসামাজিক ক্রিয়া-কলাপ আরো বৃদ্ধি পায়। মাটি মাফিয়া থেকে শুরু করে একাধিক অসামাজিক কাজকর্ম সে করত বলে অভিযোগ। ‌

পরবর্তীতে বেআইনি ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু কাজে জড়িয়ে যাওয়ার ফলে হরিণঘাটা ফতেপুর অঞ্চলে জিয়াউল মন্ডল নামে এক ব্যক্তিকে রাতের অন্ধকারে এই অমিত পন্ডিত নিজের এলাকাতেই ওয়ান সাটার বন্দুকদিয়ে গুলি করে। এ ঘটনার অভিযোগে হরিণঘাটা থানার পুলিশ অমিতকে ধরতে গেলে সে এলাকায় ছেড়ে পালিয়ে যায়। ‌ তারপর থেকেই হরিণঘাটা থানার পুলিশ অমিতের খোঁজ করছিল। আরও জানা গেছে, যখন পুলিশ অমিতের খোঁজ চালাচ্ছে, ঠিক সেই সময়েও সে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে একাধিক অসামাজিক কাজ চালাচ্ছিল।

কিন্তু এরই মধ্যে অমিত ঘটালো পানিহাটি কান্ড। সূত্রের খবর, পানিহাটি পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে খুনের জন্য সুপারি দেওয়া হয়েছিল। আর সেই ওয়ান সাটার বন্দুক দিয়েই অমিত খুন করে অনুপম বাবুকে।

ইতিমধ্যেই অমিতকে ধরে ফেলেছে পুলিশ এবং তাকে ব্যারাকপুর কোর্টে চালান করা হয়েছে। তবে কে বা কারা অনুপমাকে খুনের জন্য অমিতকে সুপারি দিয়েছিল সে বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।