অবতক খবর , রাজীব মুখার্জী, হাওড়া ::  তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির মিথ্যা কুৎসার জবাব দিলো হাওড়া গ্রামীন তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল এবং আজ মিলে এক হাজারের বেশি কর্মী বিজেপি থেকে তূণমুল কংগ্রেসে যোগদান দেয় ।ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অসহায় সব মানুষের থাকা ও খাওয়ার জন্য ধর্মশালা তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় ক্রমবর্ধমান করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মাস্ক বিতরণ করা হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। সাথে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এবং রামমন্দির ট্রাস্টের প্রধান পুরোহিতের আরোগ্য কামনাও করা হয়।

আজ হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের খলিশানী কালীতলাতে এক প্রতিবাদ সভা হয়। বিধায়ক ইদ্রিশ আলির উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সভায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রচুর তূনমুল কংগ্রেস কমী’র সমাগম হয়। বিধায়ক ইদ্রিশ আলি তাঁর ভাষণে বলেন, আমরা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এবং করোনা আক্রান্ত রামমন্দির ট্রাস্টের প্রধান পুরোহিত নিত্যগোপাল দাসের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি ।আজ রামপুজো তাই রামচন্দ্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই ।তিনি বলেন, ধর্ম নিরপেক্ষ সমস্ত হিন্দু মুসলমান এবং বিশেষ করে বাঙালিরা সবধমে’র প্রতি শ্রদ্ধাশীল।বাঙালিরা কোন গন্ডগোল চাই না ।কিন্তু দিলীপ ঘোষ, অজু’ন সিং এর মতো কিছু আধা বাঙালি, আধা অবাঙালী বিজেপি নেতারাই গন্ডগোল বা উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে, মিথ্যে কথা বলে বেড়াই।ভারতবর্ষের সবচেয়ে জনপ্রিয়ত নেত্রী পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা এবং অযথা কুৎসা করে বেড়াই ।মমতা ব্যানার্জি মানুষের কল্যাণে আশিটারও বেশি প্রকল্প করেছেন ।হিন্দু, মুসলিম ,শিখ ,ইশাই সকলের কাজ করে চলেছেন ।

যুবশ্রী, রুপশ্রী, কন্যাশ্রী, সকল মানুষকে অঢেল রেশন দেওয়া, সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতাল করা, ন্যায্য ঔষধের দোকান খোলা, শুধু করোনা আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালের ব্যবস্থা করা, সেফ হোম করা,শিক্ষাক্ষেত্রে টাকা না নেওয়া, ছাএ ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া, বাচ্চাদের পায়ে চপ্পল দেওয়া, ইতিমধ্যেই নিজের চক্ষুকে দান করা ইত্যাদির মাধ্যমে তিনি ইতিহাস গড়ে তুলেছেন ।শুধুমাত্র ভারতবর্ষেই নয়, বিশ্বের বুকে মমতা ব্যানার্জির সুনাম ছড়িয়েছে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি সহ কোন বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এ ধরনের কাজ করতে পারেনি।তাই বিজেপি, মুখমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তথা তূণমুল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছে, মমতা ব্যানার্জি কিছুই করেনি ।

তারা নাকি স্বপ্ন দেখছেন ২০২০ সালে তারা বাংলায় শাসনে আসবে।বিজেপি তো শাসনে আসতে পারবেই না।নিবাচনের ঘন্টা বাজলেই কে মুখ্যমন্ত্রী হবে, ” দিলীপ ঘোষ? মুকুল রায়? না গুজরাতের কোন অবাঙালী নেতা? “এই নিয়েই তারা ষাঁড়ের মতো গুতাগুতি করবেন, অনেককে হাসপাতালে যেতে হবে। কেন্দ্র সরকার উন্নয়ন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ । সকলের ব্যাংকের একাউন্টে ১৫ লাখ করে টাকা দেওয়া, বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরী দেওয়া, নোটবন্দী, করোনা দমন সহ সমস্ত ব্যাপারেও বিজেপি ব্যথ’।এই ব্যথ’তার জন্য দলে দলে বিজেপি কর্মীরা তূণমুলে যোগদান করছে ।গতকাল এবং আজ দুদিন শুধুমাত্র উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে এক হাজারের বেশি বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস থেকে তূনমুল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন ।এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল নাম করা এবং সক্রিয় কর্মী, তাদের হাতে তূনমুল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ইদ্রিশ আলি ।

ইদ্রিশ আলি জানান,বিজেপির মন্ডল সভাপতি সহ অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে তূণমুল কংগ্রেসে যোগদানের জন্য ।কেউ কেউ বলছে বিজেপির সঙ্গে থেকে বিজেপিকে শেষ করি ।তারপরে উন্নয়নের কান্ডারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দলে যোগ দেব।বিধায়ক ইদ্রিশ আলি আরও বলেন, মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরনায় উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের অসহায় মানুষদের খাওয়া সহ থাকার একটি ধর্মশালা করার পরিকল্পনা আছে ।আজও অনেকের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয় এবং করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করা হয় ।

এই সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রী গনেশ মন্ডল।অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাইনান গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বলিষ্ঠ নেতা শ্রী তাপস হাজরা, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শ্রী মৃণাল মাইতি, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শ্রী কৌশিক দাস পরমানন্দ মহারাজ প্রমুখ ।