অবতক খবর,৭ আগস্ট: দীর্ঘ বাম শাসনকাল থেকেই জলকষ্টে ভুগে চলেছেন এলাকার মানুষজন। নিম্নচাপ হোক বা বর্ষাকাল,টানা বৃষ্টিপাতের জেরে জল জমা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,নিকাশী না থাকার কারনে জলযন্ত্রনা তাঁদের পিছু ধাওয়া করে। তবে বাম আমলে নিকাশী থাকলেও তা কয়েক বছর পর বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে জল নিকাশী না থাকার কারনে বর্ষার জমে থাকা হাঁটু সমান জলে ডুবে রয়েছে ঘরবাড়ি, এমনকি বাড়ি থেকে বের হওয়ার মূল রাস্তা জল থই থই। একপ্রকার হয়রানির শিকার এলাকার মানুষজন। স্থানীয় গ্রামীন চিকিৎসকের কাছে যেতে হলে হাঁটু জল পেরিয়ে যেতে হয়, কিংবা আশা কর্মী জল পেরিয়ে তাঁর ডিউটিতে যান। বাড়ির দোড় গোড়ায় কংসাবতী নদীর শেষ করে ঢোকা ও বৃষ্টির মিশ্রিত জল গ্রাস করছে একাধিক ঘরবাড়ি। নেই জল নিকাশী ব্যবস্থা ,যা নিয়ে জমা জলের সমস্যার সম্মুখীন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ১ নং অঞ্চলের নস্করদিঘী গ্রামের ঘোড়ই পাড়ার বাসিন্দারা। যেখানে প্রায় একশো পরিবার বসবাস করেন। এক প্রতিবন্ধী স্বামী শয্যাশায়ী,উঠতে পারে না,সেই মাটির বাড়ির বৃদ্ধ শ্বশুর ,শাশুড়ি কোনো মতে প্রানে রক্ষা পেলেন বৃষ্টির জল লেগে মাঝ রাতে ভেঙে পড়ে যাওয়া মাটির বাড়ির দেওয়ালের হাত থেকে। ছোটো শিশু কোলে নিয়ে আতঙ্কে কেঁদে ফেললেন বাড়ির গৃহবধূ। ছোটো শিশু ও বৃদ্ধ বৃদ্ধাকে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে ওই মাটির ঘরেই বসবাস করছে পরিবারের বাকি লোকজন। গত বছরও একই অবস্থায় বাড়ির দেওয়াল পড়ে যায়, কোনো প্রকার ত্রিপল ঘেরে বসবাস করেন ওই ঘোড়ই পরিবার, ফের গতকাল রাতে মাটির বাড়ির আরও একটি দেওয়াল ভেঙে পড়ার কারনে রীতিমত আতঙ্কের সাথে বসবাস করছেন ওই পরিবার।
বার বার প্রধান বা তাঁর প্রতিনিধিকে জানিয়েও জল যন্ত্রনা থেকে রেহাই পায়নি তাঁরা। কথায় আছে –
“জলই জীবন জলই মরণ” কংসাবতীর শোষ করে ঢোকা জল ও বৃষ্টির মিশ্রিত জলে ডুবে রয়েছে এলাকা,ডুবেছে পানীয় জলের ট্যাপ, জমা জলে দাঁড়িয়েই পানীয় জল ধরে খেতে হয় তাঁদের, যে কারনে জল নিকাশী নিয়ে স্থানীয় গ্রাম প্রধানের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এলাকার মানুষজন। এলাকাবাসীর অভিযোগ একজন বিজেপি করার অপরাধে বাকি মানুষদের হতে হচ্ছে জল যন্ত্রনার হয়রানির শিকার। এক জনের কারনে গোটা পাড়াকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বঞ্চিত করছে সরকারী সহযোগীতা থেকে ,বার বার প্রধানকে জানালেও তাঁদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন পাঁশকুড়া ১নং অঞ্চল প্রধান কমলা সন্নিগ্রাহী। জল যন্ত্রনায় ভুগতে থাকা মানুষদের পাশেও দাঁড়ায়নি গ্রাম প্রধান, এমনই অভিযোগ এলাকাবাসির। তবে এ বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন মালিক আশ্বাস দিয়ে বলেন যাঁদের এমন সমস্যা রয়েছে তাঁরা যে দলই করুন না কেন আমরা সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেব,প্রধান সাহেব যদি উদ্যোগ না নেয় তবে আমরা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করব। এমনই আশ্বাস দিলেন তিনি।
তবে গ্রাম প্রধান কমলা সন্নিগ্রাহী এ বিষয় এড়িয়ে যান তিনি।