অবতক খবর,২৭ এপ্রিলঃ বিজেপি এক সক্রিয় কর্মির রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে কালিয়াগঞ্জে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর অভিযোগ, কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণ বর্মনের ভাইপো মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। রায়গঞ্জ গভ: মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে তার দেহ দেখতে এলে মৃতদেহ তাদের দেখতে দেওয়া হচ্ছে না।এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে সাংসদের তর্কাতর্কি হয়।

উল্লেখ্য, কালিয়াগঞ্জ থানায় অগ্নিসংযোগ, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার সাংবাদিক সন্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দেবার পরই পুলিশ দুস্কৃতিদের গ্রেফতারে তৎপর হন। অভিযোগ, পুলিশের কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার ঘটনায় অভিযুক্ত কালিয়াগঞ্জ বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মন। তার খোঁজে বুধবার অধিকরাতে কালিয়াগঞ্জ থানার রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদগাঁ গ্রামে গিয়েছিল। অভিযোগ বিষ্ণু বর্মনকে না পেয়ে তার বাবা এবং বোন জামাইকে পুলিশের গাড়িতে তুললে বিষ্ণুর ভাইপো মৃত্যুঞ্জয় পুলিশের গাড়ি আটকে দিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ মৃত্যুঞ্জয়কে গুলি করে বলে অভিযোগ। গুলি তার বুকে লাগে।ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।পুলিশ তড়িঘড়ি তার দেহ রায়গঞ্জ গভ: মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এই ঘটনায় কালিয়াগঞ্জে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।খবর হাসপাতাল মর্গে মৃত্যুঞ্জয়কে দেখতে যান রায়গঞ্জ সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী এবং বিজেপি উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। সাংসদ মর্গে গেলেও দেহ তাকে দেখতে দেওয়া হয় নি বলে অভিযোগ।এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে সাংসদের তর্কাতর্কি বাধে। সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই বিজেপি খতম করার কাজে নেমে পুলিশ। পুলিশ এই কাজ করলেও সারা ভারতে মানুষ তাদের সঙ্গে আছে।কালিয়াগঞ্জেকান্ডের পর পরিস্থিতি আর যাতে অবনতি না হয় তারজন্য ২৭ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিল প্রশাসন।