রঙের উৎসব– সম্মিলনের ঐশ্বর্য, ভালোবাসার উজ্জ্বল প্রহার।মাথার উপর পলাশ কৃষ্ণচূড়ার বর্ণিল বাহার,আহা!

বাসন্তিকা! স্পর্শ করো
তমাল সাহা

ওই যে বৃক্ষদুটি পাশাপাশি দাঁড়ায়
মাথায় বেঁধে নেয় শুদ্ধতার লাল-হলুদ
দাঁড়িয়েই থাকে এই বাসন্তিক বেলায়
ঝুঁকে থাকে মাটির দিকে
আসলে ইচ্ছে করেই ওরা ঈর্ষা বাড়ায়।

কার ঈর্ষা বাড়ায়?
বর্ণিল বিন‍্যাসে মানুষের গো! মানুষের!
এখানেই মানুষের জয়, নয় পরাজয়।
বর্ণের মূল্যবোধ মানুষ তার কাছে শেখে।
মানুষেরা তাদের কাছে যায় অবশেষে।

মানুষটি কৃষ্ণচূড়ার পাপড়িটি তুলে নিয়ে আসে
মাথায় গুঁজে দেয় তার।
মানুষীটি রাধাচুড়োর পাপড়ি
তুলে নেয় করতলে
হাতটি রাখে মানুষের বুকের উপর।
এ কোন বসন্ত উৎসবে দুটি ওষ্ঠ ঘনিষ্ঠ হয়ে আসে!
অপরিমেয় এই উষ্ণতা শুধু বসন্ত জানে, আর জানে ফাল্গুনী চন্দ্রমা।

ফুল, রঙ পরস্পর চেয়ে থাকে!
এ দোষ তো বৃক্ষের!
পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া
তাহাদের অপূর্ব রঙের বিস্তার
রাধাচুড়োর রঙের প্রহার
কত সহ্য করে আর!
বর্ণ স্পর্শ সুখ মিলে কি হল বলো এবার! তুমিই বলো,
তুমিই বলো, একেই বলে বসন্তবাহার!

এ কোন আনন্দ লুকিয়ে আছে বর্ণিল আবিরে?
বাউল একতারাতে সুর তুলে যায়
ভেসে যায় মাঠের ওপরে…

বলো তো কার হৃদয় গিয়েছে কত গভীরে!