লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। স্বাধীনতার ৭৭ বছর অতিক্রান্ত। আমার স্বপ্নের ভারতবর্ষকে দেখুন।

ইটের ভারতবর্ষ
তমাল সাহা

মাথায় এগুলো কি?
এতো সারি সারি ইট!
কি হবে এতে?
বাড়ির ভিত?

যারা বইছে তারা কারা?
তারাও তো
রাষ্ট্রের ভিত,
সভ্যতার ভিত!

ওরা তো শিশু!
তাই কি?
পেট তো আছে!
চায় খাদ্য কিছু।

দেশে তো আছে
শিশুশ্রম নিয়ম নীতি!
মানছে কে?
আইন না হাতি?

মাথায় আটটি ইট
ওজন মাত্র চল্লিশ কেজি।
পেটে মারা আছে গিঁট
মেলে কি রুটি সবজি?

আটটি করে ইট
দিনে বইবে কতবার?
ঐ রুজিতে মেলে কি
পেটভর্তি খাবার?

ও কখনো স্কুলে যাবে?
স্কুল! কিসের স্কুল!
মা-বাবা পস্তাবে—
কমে যাবে সংসারের আয়
ভাত জোটানো হবে দায়!

স্বপ্ন হায়!
ঠাকুরমার ঝুলি ছোটা ভীম
মোগলি টিনটিন!
খিদে-পেটে রাত কেটে যায়
ফিরে আসে ইট-বওয়া দিন।

পেট তো ভয়ানক জঙ্গি!
খিদে তার সন্ত্রাস,
মানে নাকো নিয়মকানুন
আইন ভেঙে রণরঙ্গী।

হে শিশু!
স্বাধীনতা-প্রজাতন্ত্রের দিন
জাতীয় পতাকা উড়বে সঠিক।
স্লোগানে স্লোগানে মুখর চতুর্দিক–
শিশুরাই দেশের ভবিষ্যত নাগরিক।

শিশু!ও শিশু! তুমি বয়ে যাও ইট।
ইট তো,ইট নয়,আছে এর অন‍্য মানে
যারা জানার তারাই শুধু জানে।

আমি দেখি,
ইটের পর ইট বিশাল ইমারত
আমার শিশুরাই গড়ে তুলছে—
স্বপ্নের ভারত!