অবতক খবর,১১ মার্চ: ১০ মার্চ বাংলা সংবাদপত্রের জনক,যুগ সন্ধিক্ষণের কবি কাঁচরাপাড়ার ভূমিপুত্র ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ২১১তম জন্মদিবস পালিত হল ঈশ্বরগুপ্ত পরিষদের আয়োজনে। এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয় ভারতীয় পশু চিকিৎসা অনুসন্ধান সংস্থা আই ভি আর আই-এর অভ্যন্তরে অবস্থিত ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তর জন্মভিটেতে।
উল্লেখ্য,ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জন্ম স্থানটি কল্যাণী বুদ্ধপার্ক সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থিত।

এদিন অনুষ্ঠানে ঈশ্বর গুপ্ত পরিষদ সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্যরা এবং সমবেত সুধীজন ঈশ্বরগুপ্তের স্মারক স্তম্ভে মাল্যদান করেন। পরবর্তীতে ঈশ্বরগুপ্তের বিশেষ করে তাঁর সাংবাদিকতার জীবন এবং সমাজে তাঁর সাহিত্যের গুরুত্ব নিয়ে বিশেষভাবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডঃ তাপস মন্ডল,কাউন্সিলর সুব্রত চক্রবর্তী। এই স্থানটিকে সাহিত্যতীর্থ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলার জন্য সুব্রত চক্রবর্তী দায়িত্ব নেবেন বলে জানান।

এছাড়া সুন্দর মনোগ্রাহী বক্তব্য রাখেন আভিআরআই- এর বিজ্ঞানী রাসবিহারী ভড়, লেখক শিব শঙ্কর দাস। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন বাচিক শিল্পী ইন্দ্রাণী দাস। সাংবাদিকতা এবং সাহিত্যে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন বাচিকশিল্পী মধুসূদন মন্ডল ও তথ্যবহুল বক্তব্য রাখেন অভিষেক অধিকারী।
এই স্থানটিকে সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবার জন্য পরিকল্পনা রচনা করা হবে বলে অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয়।

এদিন পরিষদের সম্পাদক রণজয় মালাকার ঈশ্বর গুপ্ত পরিষদের কার্য, কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তৃত বলেন এবং তিনি জানান,কোভিডের কারণে এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ঈশ্বর গুপ্ত পুরস্কার স্থগিত রাখা হয়েছিল। সেটি পুনরায় চালু হচ্ছে। তারা এবছরই ৩ জনকে ঈশ্বর গুপ্ত স্মারক সম্মান প্রদান করবেন। তার মধ্যে একজন প্রাপকের নাম তিনি ঘোষণা করেন-তিনি হলেন সাহিত্যিক প্রাবন্ধিক রেণুপদ ঘোষ। তাঁর সাহিত্যকীর্তি এবং ঈশ্বরগুপ্ত সম্পর্কিত গবেষণার সঙ্গে যে তিনি জড়িত, তা তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে বহু সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত মনোজ্ঞ হয়ে উঠেছিল।

এদিন কাঁচরাপাড়া কলেজের পিছনে ঈশ্বর গুপ্ত পরিষদের সম্পাদক রণজয় মালাকারের বাসভবনে একটি বৈকালিক আড্ডার আয়োজন করা হয়। এতে ঈশ্বর গুপ্ত ও এই পুরস্কার সম্পর্কিত আলোচনা হয়। এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি সাংবাদিক সুনীতি মালাকার, লেখক শিবশঙ্কর দাস, অভিষেক অধিকারী, সিধিরাজ ঘোষ প্রমুখ।