অবতক খবর,২৩ সেপ্টেম্বর: বহরমপুর কংগ্রেস কার্যালয় সাংবাদিকদের সামনে বিশেষ কিছু বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখলেন। ফিরহাদ হাকিম এর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন,যদি কেউ বলে থাকে পৌর এলাকার মানুষ সচেতন নয়, তাহলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দেওয়া দরকার।
পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে পরিযায়ী শ্রমিক দের জন্য কোন তথ্য নেই। রাজ্য সরকারের উচিত পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আলাদা মন তৈরি করা। তাছাড়াও দেখা যায় বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের হাব তৈরি হয়েছে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাংলা ও বিহার পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা অনেক বেশি।
পশ্চিমবাংলার পৌরসভা গুলির অবস্থা খুবই শোচনীয়। অধীর চৌধুরী বলেন, বহরমপুর পৌরসভাকে যখন কংগ্রেস পরিচালনা করত মানুষের কোন অভাব অভিযোগ ছিলনা। মানুষ শান্তি ভাবে চলাফেরা করতেন। কিন্তু কংগ্রেসের হাত থেকে পৌরসভা গুলি চলে যাওয়ায় এখন সেখানে লুটে পরিণত হয়েছে। প্রোমোটারি রাজ চলছে। পানীয় জলের সমস্যা। শহরের জলাশয় বলে কিছু নেই পৌরসভা সেই ভাবে কোনরকম মানুষের জন্য কাজ করছে না বললেই চলে এছাড়াও দিদি ও ভাইপোকে খুশি করার জন্য বড় বড় বিজ্ঞাপন লাগিয়ে খরচ করা হচ্ছে।
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের উচিত কেন্দ্র সরকারকে সঠিক তথ্য দেওয়া দিদি জেদ করে কেন্দ্র সরকারের কাছে কোন রকম তথ্য পাঠাচ্ছেন না কেন্দ্র সরকার যে দলই থাকুক না কেন ভারত বর্ষ সরকার তাই জেদ না করে সঠিক তথ্য কেন্দ্র’র কাছে পাঠালে সূরা হতে পারে বলেই তার মত।
শহরে অনেক গাড়ি-ঘোড়া বেড়েছে তার জন্য প্রশাসনের উচিত সঠিকভাবে পার্কিং করা কারণ পশ্চিমবঙ্গের বাইরে গেলে দেখা যায় ক্রেন দিয়ে গাড়িগুলোকে উপরে তুলে রাখার ব্যবস্থা আছে। হলে শহরে যানজটের সমস্যা কম হয়। সেই ভাবে কিন্তু যেখানে প্রশাসন গাড়ি কেনার অনুমতি দিচ্ছে একটা মানুষ সবসময়ই গাড়ি চালিয়ে যেতে পারে না। তার জন্য তাকে দাঁড়াতে হতেই পারে। প্রশাসনের উচিত সঠিক পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা। তিনি আরো বলেন, বহরমপুরে গঙ্গার ধার দিয়ে তৃতীয় সড়ক হওয়ার ফলে শহরের যানজট অনেকটাই কম হয়েছে তবে তার ধারণা তৃতীয় সড়ক যানজট অনেক বেড়েছে তার জন্য উচিত সঠিক পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা।