অবতক খবর,৬ আগস্ট: আজ দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সিপিএমের অন্যতম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী প্রয়াত হলেন। তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণ হয়েছিল, তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এমনিতেই তিনি দীর্ঘবছর যাবত শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। তাঁকে শেষ পর্যন্ত ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়া হয়। সেই সাপোর্টও তিনি তেমনভাবে গ্ৰহণ করতে পারেননি বলে জানা যায়। তিনি উল্টোডাঙা অঞ্চলে এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

শ্যামল চক্রবর্তী সিপিএমের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী ছিলেন। অন্যদিকে সাংগঠনিকভাবে তিনি ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য তো বটেই সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য। আমৃত্যু তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ছিলেন শ্রমিক নেতা। সিটুর নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি ছিলেন পার্টির হোলটাইমার।

তিনি রাজনৈতিক জগতে একটি ব্যতিক্রমী চরিত্র। কারণ সাংস্কৃতিক জগতেও তাঁর ভূমিকা ছিল অনন্য। তাঁর লিখিত বহু বই রয়েছে। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ বক্তা। বিভিন্ন সভায় যে তিনি ভাষণ দিয়েছেন, তা ছিল অত্যন্ত মনোগ্ৰাহী, বাস্তববাদী এবং যুক্তিপূর্ণ।

কাঁচরাপাড়া অঞ্চলেও তিনি কয়েকবার বক্তৃতা দিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বক্তৃতা দিয়েছিলেন ১৯৮৭ সালে বিধানসভার প্রাক নির্বাচনী সভায়। সেই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল কাঁচরাপাড়া রজনী বাবু রোড সংলগ্ন জলের ট্যাঙ্ক ময়দানে। তিনি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বক্তৃতা দিয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তাঁর পুত্রী অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই চলচ্চিত্র জগতে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। তিনি তাঁর পিতার পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তেই টুইটারে জানাচ্ছিলেন।

তাঁর মৃত্যুতে কাঁচরাপাড়া অঞ্চলের সিপিএম সদস্য ও কর্মীরা অত্যন্ত শোকস্তব্ধ।আজ কাঁচরাপাড়া ও হালিশহর সিপিএম দপ্তরে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লাল পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।