অবতক খবর,২ জুন: বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বনগাঁ পৌরসভার পৌরপ্রধান গোপাল শেঠের নামে ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে তাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে এই অভিযোগ এনে তৃনমূল ছাত্র পরিষদের ধিক্কার মিছিল ও থানায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করল বনগাঁ শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বনগাঁ লোকসভা কমিটির সভাপতি অনুতোষ নাগ বলেন, আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে কিছু মানুষ তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বনগাঁ পৌরসভার পৌরপ্রধান গোপাল শেঠের নামে কুরুচিকর মন্তব্য করছে এবং তাকে কালিমালিপ্ত করতে বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর পোস্ট করছে। আমাদের দলনেত্রীর ছবি দেওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দলনেত্রীর সৈনিককে এভাবে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা এক প্রকার আমাদের দল এবং দলনেত্রীকে অসম্মান করা ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা এই কাজের সাথে লিপ্ত দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তিনি দাবি করেন বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর ইন্ধনে ফেসবুক পোস্ট করা হচ্ছে ।


বিজিটিএ এর সম্পাদক শংকর আঢ্য বলেন গত পরশু স্বপন শেঠ নামে এক ব্যক্তির লরি আটক করা হয় এবং দেখা যায় তিনি এসিডের নাম করে অন্য মাল নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ তাকে আটক করে এরই প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন কর্মী সমর্থকরা ফেসবুক পোস্ট করে প্রশাসনকে এই বিষয়ের দিকে নজর দিতে বলেন এবং প্রতিবাদ জানান। আর যারা এই প্রতিবাদ জানিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে, যদি এই ঘটনা মিথ্যা হয় তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।

প্রসঙ্গত কদিন আগে বিজিটিএ এর পক্ষ থেকে বনগাঁ মহকুমা শাসকের কারণে মহকুমা শাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে বলা হয় পার্কিং থেকে অবৈধভাবে কিছু গাড়িকে বাংলাদেশে রপ্তানির উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। পার্কিংয়ের এই ধরনের অবৈধ কাজের বিষয়ে প্রশাসন নজর দিক এবং যে বা যারা এ ঘটনার সাথে যুক্ত রয়েছে তাদেরকে শাস্তির দেওয়ার দাবি করেন তারা।

এই বিষয়ে বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন এখন পার্কিংয়ের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের । আগে পার্কিং এর ক্ষেত্রে কিছু লোক অস্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতো এখন স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা হয় । যদি এক্সপোর্ট এর বিষয়ে কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক । আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে চলি ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধি করবার জন্য নয় । অপবাদ যারা দেয় অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে ।

বিজেপি অবশ্য এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল হিসেবে দেখছে। এই ঘটনার তীব্র কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল বলেন আগে পৌরসভা পার্কিংয়ে দায়িত্ব ছিল তখন অর্থের বিনিময়ে ৭০ থেকে ৮০ টি গাড়ি লাইনের বাইরে যেত । এখন বিভিন্ন জেলার নেতাদের সুপারিশে গাড়ি যাচ্ছে । গাড়ি যাওয়ার বিনিময়ে অর্থের লেনদেন তো অবশ্যই আছে । তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আজকের মিছিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এর ফলেই এই ধিক্কার মিছিল ।