অবতক খবর,২৯ মে: বীজপুরের দুবারের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি বিজেপির অন্যতম আঞ্চলিক নেতৃত্ব। সেই শুভ্রাংশু রায় এই মহা কোভিড পরিস্থিতিতে বীজপুরে নেই,তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। এই মর্মে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল, তিনি তার একটি উত্তর দিয়েছেন।

জানা গেছে তাঁর পিতা এবং মাতা কোভিড আক্রান্ত। পিতা বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন,মাতা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। ফলত,তিনিও কোভিডের সম্ভাবনা নিয়ে জনগণের সামনে আসতে পারছেন না। তিনি এটি ২৮শে মে ফেসবুক মারফত জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন। এ সর্বৈব সত্য।

কিন্তু নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতিতে যে জনসংযোগের দরকার ছিল,তখন তাকে দেখা যায়নি। তিনি জনসমক্ষে আসেননি। এখন প্রশ্ন, তিনি বিজেপি নেতৃত্ব, তিনি না হয় কোভিড পরিবারের একটি অংশ। মাতা-পিতার সেবা-শুশ্রূষার দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু তার দলের যে অসংখ্য কর্মী তারা কি করছেন? এই বীজপুর অঞ্চলে কোভিড পর্যায়ে তারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে জনতার পাশে এসে কি দাঁড়াচ্ছেন? তাদের তো দেখা যাচ্ছে না। তিনি নেতা হিসেবে কর্মীদের কি সেই কর্তব্য পালনের নির্দেশ দিয়েছেন?

কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহরে যে কোভিড কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে, প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিকভাবে তাতে বিজেপি নামক রাজনৈতিক দলটির কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। এই প্রশ্ন স্থানীয় জনসাধারণ তুলেছেন যে, বিজেপি নির্বাচনের পরে গেল কোথায়, তারা জনসংযোগ করছে না কেন?

অন্যদিকে অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দল তারা শূন্যগর্ভে চলে গেলেও যে আসলে তারা এখনও মাটির উপরে রয়েছেন, সেইভাবে তারা কাজ করছেন। রেড ভলেন্টিয়ার্স নাম দিয়ে তারা জনতার কাছে দৌড়ে যাচ্ছেন, কাজ করছেন।এমনকি বর্তমান শাসকদল তৃণমূল তাদের কর্মীরাও তাদের থেকে অর্থাৎ এই রেড ভলেন্টিয়ার্সদের সাহায্য নিচ্ছেন, এ ও বিভিন্ন সংবাদপত্রে বেরিয়েছে। ‌

যখন এমন একটি পরিস্থিতি সকলকেই সামনে দাঁড়াতে হবে তখন বিজেপি কর্মীদের দেখা যাচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নই উঠেছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে থাকুন বা না থাকুন সেটা বড় কথা নয়, জনগণের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের থাকা সেই দায়িত্ব পালন করা এবং জনসমক্ষে রাজনৈতিক কর্মীদের যে গুরুত্ব রয়েছে সেটা তুলে ধরার যে দায়বোধ সেটি এড়িয়ে যেতে পারেন না।
তাঁর একক ভূমিকা নিয়ে এখানে কোন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে বীজপুরে বিজেপিকে জনকল্যাণমূলক কাজে জনতার পাশে দাঁড়ানোর কোন কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না।