অবতক খবর,২২ এপ্রিল: কৃষি ভিত্তিক বসিরহাট মহকুমা। এই মহকুমার স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া, বসিরহাট দু’নম্বর ও বসিরহাট এক নম্বর ব্লক ও হাসনাবাদ সহ একাধিক ব্লকের কৃষিনির্ভর কয়েক লক্ষ মানুষের বসবাস। এখানকার উৎপাদিত ফসল কলকাতা ও রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যায়। পটল, ঝিঙে, লঙ্কা ও উচ্ছে সহ একাধিক ফসল এখানে ফলানো হয়। বিশেষ করে বসিরহাট ১নং ব্লকের গোটরা, পিফা, সংগ্রামপুর-শিবহাটী ও নিমদাঁড়িয়া-কোদালিয়া সহ সাতটি পঞ্চায়েতে ধান থেকে শুরু করে পাট, বিভিন্ন রকম সব্জি, ঢেঁড়স, লঙ্কা ও উচ্ছের চাষ হয়।

কিন্তু নিমদাঁড়িয়া-কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এবার বাঁধ সেধেছে এক পাথরের প্লান্ট। বড় পাথরকে ছোট পাথরে রূপান্তরিত করা সেই প্লান্ট থেকে ধেঁয়ে আসছে বিটুমিন পোড়া দূষিত ধোঁয়া এবং পাথরের গুড়ো মিশ্রিত ধুলো। যা সরাসরি জমছে ফসলের উপর। যার ফলে ফসলের বাড়ন ঠিকঠাক করে হচ্ছে না। নিমদাঁড়িয়া-কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কোদালিয়া, ঘুসুড়ি, ওলাইচন্ডী ও মধ‍্যমপুর একাধিক গ্রামের কৃষকরা জানাচ্ছেন দূষিত ধোঁয়া ও পাথর গুড়োর আস্তরণ পড়ে যাওয়াতে শষ‍্যের পাতাগুলি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারছে না। আর যার জেরে সেই গাছগুলির মৃত্যু হচ্ছে। চাষের খেতে গেলে দেখা যাচ্ছে লঙ্কার গাছ ধুলোয় থেকে রয়েছে পটল ছোট অবস্থাতেই মরে পড়ে রয়েছে।

যার জেরে তীব্র বিপাকে পড়েছেন ওই গ্রামগুলির কয়েক হাজার কৃষক। তারা জানাচ্ছেন ধার দেনা করে তারা চাষ করতে নেমে ছিলেন। কিন্তু যেভাবে ধুলো ও ধোঁয়ার জেরে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে, গাছ মারা যাচ্ছে তাতে তারা প্রবল সমস্যায় পড়েছেন। যদিও প্লান্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক জানান তারা প্লান্টটিকে ঘিরে দিয়েছেন। কিন্তু গ্রামবাসিরা জানাচ্ছেন, দশ ফুটের ঢাকা দিয়ে কি আর ধোঁয়া বা ধুলো আটকানো যায়? যদিও এইভাবে ফসল নষ্ট হওয়া একদম মানতে পাচ্ছেন না কৃষকরা। তারা চাইছেন অবিলম্বে এই পাথরের প্লান্ট বন্ধ হোক। নয়তো তারা আগামী দিনে প্রবল সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়বেন।