অবতক খবর,২৪ মেঃ বুধবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

ছয় মাসের মধ্যে মিরাকেল। কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পর কিসের ইঙ্গিত মমতার?

উনি আগে খোঁজ নিন ওনার পার্টিটা আছে কিনা। ওনার সরকারের কি অবস্থা। বিধায়করা মন্ত্রীরা সব মুখ খুলছে। এটা ওনার পুরনো অভ্যাস। একটা ঘোট পাকিয়ে দিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। নেতা মন্ত্রীরা জেলে। নেতাদের ডাকাডাকি চলছে। চাকরি দিতে পারছে না। দুর্নীতিতে ডুবে আছে। এর থেকে নজর ঘোরাতে চারিদিকে বোমা বিস্ফোরণ করা হচ্ছে। এটা আসলে চক্রান্ত। পুলিস জানে। পার্টির লোকেরা যুক্ত। বোমার আওয়াজ করে ভয় দেখিয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। মিডিয়ার মুখ ওদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সৌগত রায় বড় বিজ্ঞানী। তার ৭৫ বছর বয়স। ওকে জিজ্ঞাসা করুন, উনি কোনো দিন দেখেছেন, গরমে বোমা ফেটে যায়? হঠাৎ এভাবে পরপর ফাটতে আরম্ভ করল। কার কার ফাটবে এবার বোঝা যাবে।

কি এমন বাজি ছিল মালদায়? যে দশ ঘন্টা পরেও নেভানো যাচ্ছে না আগুন? কি ছিল ভিতরে?

এটা বাজি বানানোর সময়। এখন বানানো হয়। সারা বছর স্টক করা হয়। চম্পাহাটি বা মহেশতলা, সব জায়গায় অন্যান্য বছর এই সময় গিয়ে দেখেছি, বাড়ির সামনে বাজি তৈরি করে রোদে দেওয়া আছে। বাড়ির মহিলারাও কাজ করেন। যদি বেআইনি হয়, প্রথমে আটকায় নি কেন? আর এখন কেন পেটি পেটি বাজি তুলে হচ্ছে? এটা অমানবিক।

বাঁকুড়ার খাতড়ায় কুরমি বিক্ষভের মুখে অভিষেক—

এ সব সেটিং। যেহেতু আমাদের ঘেরাও করার পর আমরা সোচ্চার হয়েছি। ওদের টাকায় বাস নিয়ে এসে আমার বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে। আমি প্রতিবাদ করেছি। মানুষের কাছে ব্যাপারটা এক্সপোজ হয়ে গেছে, সেই নেতারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাই লোক দেখানোর জন্য এখন অভিষেক কে ঘেরাও করা হচ্ছে।

বিজেপিতে সৌরভ? ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার। বাংলায় কি আগামি লোকসভায় বিজেপির মুখ সৌরভ?

অমিতাভ বচ্চন একাধিক রাজ্যের পর্যটন মুখ ছিলেন। যারা সেলিব্রিটি তাদের বিভিন্ন রাজ্য সামনে নিয়ে যায়। জানিনা উনি রাজি হবেন কিনা। ত্রিপুরা দ্রুত উন্নতি করছে। চোখে পড়ার মতো। উনি যদি যুক্ত হন, তাহলে বাঙালি হিসেবে একটা সেন্টিমেন্ট এর জায়গা তো থেকেই যায়।

রবিবার দেশের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন বয়কট তৃণমূল কংগ্রেসের।

লোকসভায় যুগ্ম অধিবেশন বয়কট করে। মোদী লোকসভার নেতা। তাই উনি উদ্বোধন করছেন। রাষ্ট্রপতি সেখানে আমন্ত্রিত। এর আগে লাইব্রেরি উদ্বোধন হয়েছে। রাজীব গান্ধী গেছেন। অ্যানেক্স ভবন উদ্বোধন হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী গেছেন। তখন এই তৃণমূলের লোকেরা কংগ্রেস ছিল। তাই প্রতিবাদ করেন নি। তাহলে আজ কিসের প্রতিবাদ? আসলে সমাজ থেকে এরা ব্রাত্য। কাউকে মুখ দেখাবার যো নেই। তাই সব জায়গা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। যারা বয়কট করছে, তাদের পাবলিক আগামি নির্বাচনে বয়কট করে দেবে।

আজ থেকে শুরু ২০০০ এর নোট বদল। আবার কি মানুষের ভোগান্তি?

অত নোট নেই। সবার কাছে এই নোটও নেই। যাদের কাছে আছে, তাদেরও এক্ষুনি জমা দেওয়ার দরকার নেই। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। সুবিধামত জমা দেবেন। ভয়ের কোনো কারণ নেই। যারা ভয় দেখাচ্ছেন, তাদের থেকে সাবধানে থাকুন।

বিরোধী ঐক্যের বার্তা নিয়ে নবান্নে দিল্লি-পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মমতার। এবারও নাম নিলেন না কংগ্রেসের।

কংগ্রেস সম্পর্কে মতামত কি? একবার বলছেন, কংগ্রেস বাদ। একবার বলছেন, কংগ্রেস চাই। লেনদেনের প্রশ্ন উঠছে। উনি ওনার স্ট্যান্ড ক্লিয়ার করুন। এগুলো সব ড্রামা। মমতার কাছে সবাই আসছে। উদ্দেশ্য তাকে যেনতেন প্রকারে জলে নামিয়ে দেওয়া। কিন্তু আগের বার জলে নেমে লাফালাফি করায় ১২টা সিট কমে গেছে। তাই উনি এবার রাজি হচ্ছেন না। নবীন পট্টনায়ক রাজি হচ্ছেন না। মোদীজির সামনে আসতে কেউ সাহস পাচ্ছেন না।