অবতক খবর,৭ মেঃ রবিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

অভিষেক ব্যানার্জি বলেছেন সাগর দীঘিতে বায়রন বিশ্বাস জেতায় এ রাজ্যে বিজেপি শক্তিশালী হয়েছে—-

দেখুন বিজেপি কর্মীরাই বিজেপিকে শক্তিশালী বানাচ্ছে বাকি কে জিতল কে হারলো তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। উনারা কেন দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন, সেটা আগে ভাবুন। উনাদের কোন রুবলী নেই লোক জেতাচ্ছে বিজেপিকে জেতাচ্ছে অন্যদেরকে জেতাচ্ছে তাদেরকে মানুষ হারাতে চায়। এটা যেন মনে রাখে।

৩৪ জন সংসদ ছিলাম তখন বিজেপি রাজ্যের টাকা আটকানোর সাহস পায়নি—–

দেখুন জানি না তখন থেকে চুরি শুরু করেছেন কিনা ,আমার তো মনে হয় মমতা ব্যানার্জি যখন রেলের মন্ত্রী ছিলেন তখন থেকে চুরির প্র্যাকটিস শুরু হয়েছে‌। আজকে চুরিটাকে আপনারা সার্বজনীন করেছেন। বাঙালির মাথা নিচু করে দিয়েছেন। বাঙালি জাতি চোর এটা প্রতিপন্ন করেছেন আপনারা এই লাভ হয়েছে। এক সময় ৩৬ টা এমপি ছিল সিপিএমের,কি করতে পেরেছে আপনারা ৩৪ টা কি করতে পেরেছেন আমরা কমপক্ষে এটা করতে পেরেছি যে চুরিটা আটকাতে পেরেছি।

সাগরদিঘির কংগ্রেস প্রার্থীকে বার্তা দিতে অভিষেক ব্যানার্জি মুর্শিদাবাদে বলেছেন উন্নয়নের জন্য কিছু পেতে হলে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করুন—-

ঠিকই বলেছে যারা গেছেন ওদের সাথে তারা কি অবস্থায় আছে না একবার খোঁজ নেওয়া যায়।

ধর্মতলায় ধর্ম পূজার পরে শুভেন্দু অধিকারী তিনটি জায়গার নাম বদলের প্রস্তাব প্রসঙ্গে—

নাম পরিবর্তন সারা দুনিয়া জুড়ে হচ্ছে সারা দেশ জুড়ে হচ্ছে, পশ্চিমবাংলায় হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা করার জন্য এখানকার সরকার লিখিতভাবে কেন্দ্রকে জানিয়েছিল। নাম পরিবর্তন হতেই থাকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ।আমাদের কলকাতাতে অনেক নাম পাল্টানো হয়েছে। মুঘলদের আমল থেকে, ব্রিটিশদের আমল থেকে আরো পাল্টাবে, ধর্মতলায় ধর্ম ঠাকুরের নামে ধর্মতলা সেটা লোকে ভুলে যেতে বসেছে।প্রায়ই তার পুনঃরজীবন হওয়া উচিত। প্রাচীন যে নাম সংস্কৃতি তার পুনঃ প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিত।

শুভেন্দু অধিকারী গতকাল বলেছেন যেখানে খুন হবে আমাকে বলবেন আমি দেহ নিয়ে কালীঘাটে ঢুকবো,,,কালীঘাটের ওসিকে দেখব কিভাবে আটকায়।

ঠিক আছে ,মমতা ব্যানার্জি এটাই করেছিলেন সব জায়গার মৃতদহ নিয়ে এসে কলকাতা জ্যাম করতেন।এই রাজনীতিটা পশ্চিমবাংলার রাজনীতি, এটা গিমিকের রাজনীতি চলেছে। কিন্তু সবই ঠিক আছে মনে করার কোন কারণ নেই খুন কেউ না হোক এটা আমরা দেখব, এটা যেন সরকার করে।

DA-র আন্দোলনকারীদের মহামিছিল প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলছেন তাদের জিভ টেনে ছিড়ে দেওয়া উচিত—–

সময় আসছে এই ধরনের পাগলের মতো কথাবার্তা যারা বলে তাদের সাথে কি হয়। আইন আছে, কানুন আছে। শেষ পর্যন্ত জনতা জনার্দন আছে। সব হিসাব মিটিয়ে দেবে ওরা।

চন্ডিপুরের ঘটনার পর কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ করা উচিত—

উনারা কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদের এমপি একটা ছেলেকে চাপা দিয়ে মেরে দিয়েছিল। কি হয়েছিল তার বিরুদ্ধে বলার হিম্মত ছিল। আমি ছবিতে দেখলাম যে সাইকেলটা পড়ে আছে সেটা ধাক্কাই লাগেনি। একটা এত জোরে নাকি গাড়ি গেছে যদি সাইকেল থাকতো সাইকেলটা চুরমার হয়ে যেত দুমড়ে যেত। কি করে মারা গেছে আদৌ এক্সিডেন্ট হয়েছে  কিনা সেটা তদন্ত হওয়া উচিত।

দিলীপ ঘোষকে নিজের বিবেককে জবাব দিতে পারবেন বাঁশঝাড় থেকে আম ফলবে না—-

দিলীপ ঘোষের বিবেক আছে এ দিলীপ ঘোষের বিবেক নয় দিলীপ ঘোষ সবাইকে জবাব দেয়। উনারা নিজের বুকে হাত দিয়ে বলুন উনাদের বিবেক আদৌ আছে জবাব তো পরে দেবেন….

আপনি বললেন গিমিকের রাজনীতি, এটা কি তৃণমূলের সংস্কৃতি—

না সারা দুনিয়াতে কোথাও এরকম হয়না, মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি। এটা মমতা ব্যানার্জি শুরু করেছেন। আগে ডেড বডি নিয়ে যেতেন এখন ডেড বডি বানাচ্ছেন এটা বন্ধ করার দরকার আছে।

বিরোধী দলনেতার মুখে এই কথা প্রসঙ্গে–

যে যে ভাষায় বোঝে, তাকে সেই ভাষায় উত্তর দেওয়া হয় ।এখন তাই হচ্ছে। আমরা চাইছি খুনের রাজনীতি বন্ধ হোক। বাংলায় উন্নয়নের রাজনীতি হোক।।