অবতক খবর,২৯ অক্টোবরঃ প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছিল ঠিক এমন আবহেই এই খুন হয়ে গেলেন অভিযোগকারী। মৃত ওই অভিযোগকারী নাম ধনঞ্জয় সরকার তার বয়স ৫০ বছর ।বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে একটি আম বাগানে তার ক্ষত-বিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গাজল ব্লকের বৈরগাছি দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোসলা বাড়ি গ্রামে। মৃতের পরিবারের দাবি দুর্নীতির অভিযোগ করাই খেসারত প্রাণ দিতে হয়েছে ধনঞ্জয় বাবুকে । আর এই খুনের পিছনে প্রধানের হাত দেখছেন ধনঞ্জয়ের পরিবারের লোকেরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রধান। মৃত ওই ব্যক্তির পরিবারের লোকেরা ও স্থানীয়দের অভিযোগ গাজল বৈরগাছি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান সুবোধ সরকারের বিরুদ্ধে। তারা জানেন এলাকায় প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন ধনঞ্জয় বাবুর ভাই সহ আরো বেশ কিছু মানুষ। তারপর থেকেই বিভিন্ন সময় খুনের হুমকি দিতে থাকেন প্রধান। বুধবার রাতে কালীপূজায় মেলাতে সুবোধ সরকারের সঙ্গে ধনঞ্জয় বাবুর গন্ডগোল হয়েছিল। তারপর গভীর রাতে ঘটে যায় খুনের ঘটনা ।পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ মেলা থেকে বাড়ি ফেরার সময় আম বাগানে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হতে হয় ধনঞ্জয় সরকারকে। পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে গাজল থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্য স্থানীয়রা এই ঘটনায় যারা যুক্ত রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুন পুলিশ এই দাবি রেখেছেন।

এদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমে গাজোল থানার আইসি রণবীর কুমার বাগ ঘটনাস্থলে যান ঘটনাস্থল থেকে পড়ে থাকা রক্তের নমুনা সহ বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহ করেন। পরিবারের সদস্য স্থানীয়রা এই খুনের সাথে প্রধান হাত রয়েছে বলে পুলিশ কে জানিয়েছেন। এদিকে শুক্রবার বিকেলের প্রধান সুবোধ সরকারকে গাজল থানায় জিজ্ঞাসাবাদ জন্য ডেকে পাঠানো হয়। এদিন বিকেলে থানা থেকে বেরিয়ে সুবোধ সরকার জানান ঐই ঘটনার কথা শুনে আমিও অবাক হয়ে গিয়েছি। মৃত ওই ব্যক্তি ধনঞ্জয় সরকার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বেশ কিছু মানুষ আমার নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এই নিয়ে হাইকোর্টে করে মামলাও চলছে। কালী পূজার দুদিন পর এলাকায় যাত্রা গান ও মেলা হচ্ছিল এবং ওখানে আমাদের মধ্যে সামান্য বচসা হয়েছিল এটা ঠিকই তবে এই খুনের ঘটনায় কেন্দ্র করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমিও চাই ঘটনার তদন্ত করক পুলিশ। এই ঘটনা পেছনে কে বা কারা রয়েছে তাদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক পুলিশ।। খুনের এই ঘটনায় কে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানো তোর। উত্তর মালদা বিজেপি সংসদ খগেন মুর্মু জানান তৃণমূল কংগ্রেস সব ক্ষেত্রেই লুটপাট করছে আর এই লুটপাটের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করছে তাদেরকে খুন করা হচ্ছে। আমরা চাই পুলিশ নিরপেক্ষভাবে সঠিক তথ্য এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের। গ্রেফতার দাবি জানাই।

অন্যদিকে এ বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী জানান একটা মর্মান্তিক খুনের ঘটনা ঘটেছে সে ক্ষেত্রে অনেকেরই নাম পুলিশের কাছে এসেছে আমরা চাই পুলিশ তদন্ত করুক এবং দোষীদের গ্রেফতার করুক। এখানে যে দলের কর্মী থাকুক না কেন যদি প্রমাণ হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আইনত ব্যবস্থা না দরকার।