অবতক খবর :: উত্তর দিনাজপুর ::    দিনদুপুরে প্রকাশ্যেই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হতে হতে বেঁচে গেলেন এক যুবক। যদিও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবককে পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। জখম যুবকের নাম মনজুর আলম। বাড়ি চোপড়া থানা এলাকায়।

ঘটনার বিবরণে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ওই এলাকার ব্যবসায়ী মঞ্জুর আলমকে চোপড়া বাজারে তার জুতোর দোকানের ভিতরে ঢুকে শফিক আলম নামে অপর এক যুবক বেশ কয়েক মাস ধরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতো এবং নানান ভাবে তাকে উত্ত্যক্ত করতো। দুজনেরই বাড়ি ওই থানার ঝাড়বাড়ী এলাকায় ।এই বিষয়টি নিয়ে মনজুর আলম একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও লাভ হয়নি কিছুই।অভিযোগ নিয়ে কারোর যেন মাথা ব্যথাই ছিল না। যখন যুবকের আত্মীয় তথা বিজেপি নেতা রশীদুল আলম জানান, এটি শাসকদলের একটি চক্রান্ত। ওই ছেলেটিকে এতদিন ধরে নানান ভাবে গালাগালি দেওয়া হয়েছে। উত্যক্ত করা হয়েছে। এরপর প্রকাশ্যে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরি মেরে দেওয়ার সাহস দেখালেও একটুর জন্য সে বেঁচে গেছে। যদিও তার পরিস্থিতি যথেষ্টই উদ্বেগজনক। এর পিছনে একটি পুরনো বিবাদের ঘটনা লুকিয়ে আছে এবং নেতাদের উস্কানি এবং বিরোধীদের চক্রান্তই এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে মনে করছেন তিনি।

যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য হাসান কামাল রানা জানিয়েছেন, এটি একটি পুরনো বিবাদের ঘটনার জের। যার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ সে কিছুটা মানসিক অবসাদগ্রস্ত ।তবে এর পেছনে কোনো রাজনীতি নেই।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এদিন আচমকা মনজুর আলম কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করতে উদ্যোগী হন শফিক আলম। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। কিন্তু এই ঘটনার পরই মনজুর আলমের পক্ষে উত্তেজিত জনতা শফিক আলমকে গণপিটুনি দেয়। এমনকি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে তার পরিবারের লোকজন গিয়ে তাকে বেধড়ক পেটায় ।তার অবস্থাও গুরুতর। তাকে চোপড়ার দলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচীন মাক্কার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবকের কোনও মেন্টাল সমস্যা থাকতে পারে। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে এবং তাকে পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সে বর্তমানে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। পাশাপাশি ওই গ্রামেও পুলিশ পৌঁছে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।