অবতক খবর :: রায়গঞ্জ ::    সরষের তেলে ভেজাল মেশানোর সন্দেহে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুর বড়াল এলাকার একটি তেল মিলে হানা দিল রায়গঞ্জ জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। স্হানীয় থানার সহযোগিতায় এদিন কালিয়াগঞ্জ শহর লাগোয়া বড়ালের এই মিলে অভিযান চালায় পুলিশ। জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখার ডিএসপি প্রসাদ প্রধান ও কালিয়াগঞ্জ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএসপি (সদর) গোবিন্দ শিকদারের নেতৃত্বে এই অভিযান হয়। এই মিল থেকে ২৫১ টিন সরষের তেল ভেজাল সন্দেহে বাজেয়াপ্ত করে কালিয়াগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। সিল করে দেওয়া হয়েছে এই তেল মিল।

 

এই মিলে বিভিন্ন নামের ৫ লিটার তেলের প্লাস্টিক জার পেয়েছে পুলিশ। যা দেখেই পুলিশের সন্দেহ দৃঢ় হয়েছে ভেজাল নিয়ে। জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখার অভিযোগের ভিত্তিতে কালিয়াগঞ্জ থানায় একটি মামলা চালু করা হয় এই তেল মিলের বিরুদ্ধে। বাজেয়াপ্ত করা সরষের তেল ভেজাল কি না, তা জানার জন্য নমুনা সরকারি ল্যাবেটরিতে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সুত্রে জানা গেছে কমদামি রাইসব্যান তেলে একধরনের ঝাঁঝালো রাসায়নিক মিশিয়ে তা খাঁটি সরষের তেল বলে বাজারে বিক্রির একটি চক্র ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে কালিয়াগঞ্জে।

বৃহৎ পরিমানে সরষের তেল উৎপাদনের জন্য দেশের দ্বিতীয় কানপুর নামে খ্যাত উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ। এই শহর ও গ্রামীন এলাকায় এখনো শতাধিক সরষের তেল মিল চালু আছে। খাঁটি সরষের তেল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত এই কালিয়াগঞ্জে সময়ের সঙ্গে থাবা বসিয়েছে ভেজাল। এই ভেজাল সরষের তেল আটকাতে জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও কালিয়াগঞ্জ থানা মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে থাকে।

বর্তমানে কালিয়াগঞ্জে সরষের তেলে ভেজাল মেশানোর কারবার একরকম বন্ধ করতে সফল হয়েছিল পুলিশ। কালিয়াগঞ্জে কমদামি রাইসব্যান তেল সরবরাহ করতে আসা ওয়েল ট্যাংকারের আগমন বন্ধ হয়েছে পুলিশে ভেজাল বিরোধী কড়া পদক্ষেপে।

এই পরিস্থিতির মাঝে ফের কালিয়াগঞ্জের বেশ কিছু তেল মিলের আড়ালে ভেজালের কারবার শুরু হয়েছে এমনি খবর কানে যায় পুলিশের। সেই খবরের ভিত্তিতে রবিবার বৃষ্টির মধ্যেই কালিয়াগঞ্জের বড়াল এলাকার এই তেলে হানা দেয় জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। সব কিছু খতিয়ে দেখে সন্দেহের অবকাশ থাকায় ২৫১ টিন তেল বাজেয়াপ্ত করার সঙ্গে তদন্তের স্বার্থে তেল মিল সিল করে দেয় পুলিশ। সংবাদমাধ্যমের কাছে এই অভিযান প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে চায়নি জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখার ডিএসপি প্রসাদ প্রধান।