অবতক খবর: বৃহস্পতিবার সকালে মহম্মদবাজারের সেরেন্ডা গ্রামে পুকুরে পাড়ে দিলীপ মাহারা নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। তাদের দাবি, দেহটি নির্দল প্রার্থী ছবি মাহারার স্বামীর। এই খবর চাউর হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছরিয়ে পরে।

নিহতের স্ত্রীর দাবি, ‘বিকেল সাড়ে ৪টের সময় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। রাত ৮টার সময় ফোনে কথা হয়েছিল। তার পর থেকে খোঁজ ছিল না। সকালে জানতে পারি যে দেহ পড়ে রয়েছে। তৃণমূলের লোকেরা মেরেছে। আমি প্রার্থী হয়েছি পঞ্চায়েত ভোটে। তাই মেরেছে।’’ মৃতের পুত্র উৎপল মাহারা বলেন, ‘‘রাত ৯টার পর থেকে বাবার খোঁজ পাইনি। কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকেরা মেরেছে। ওঁকে গ্রেফতার করা হোক। শাস্তি চাই। তদন্ত করা হোক।’’

অন্যদিকে বীরভূমে তৃণমূলের জয়েন্ট কনভেনর কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘বিজেপি কর্মীর স্ত্রী নির্দল প্রার্থী। তৃণমূল মারামারির রাজনীতি করে না। করবেও না। ওদেরই কিছু বিষয়। তদন্ত করে দেখুক। আমাদের কোনও কর্মী যুক্ত নয়।‘জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্দল প্রার্থীর স্বামী উনি। ফায়দা তো লার জন্য রাজনীতি করছে বিজেপি। তদন্ত করে দেখা হোক।‘

গ্রামবাসীরাই খবর দেয় পুলিশকে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। দেহে রক্তের দাগ রয়েছে। শ্বাসরোধ করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ৪৮ ঘন্টা পর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে খুনের ঘটনা নিঃসন্দেহে প্রশাসনকে চিন্তায় রাখল।