বিনয় ভরদ্বাজ, অবতাক খবর,:: দীর্ঘ ঝামেলার পর অবশেষে হালিশহর পৌরসভার বর্তমান পৌর প্রশাসক অংশুমান রায় পদত্যাগ করতে চলেছেন আর কিছুক্ষণের মধ্যেই। জেলা কমিটির পক্ষ থেকে তার পাঠানো রেজিগনেশন পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়েছে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে পথ ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

হালিশহর পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য তার বিরুদ্ধে কাজ না করার অভিযোগ তোলেন যদিও পৌর প্রশাসক অংশুমান রায় জানান লকডাউনের ফলে কর্মচারীরা কাজ করতে আসছে না কন্টাকটার কাজ করাতে পারছে না তাই জেনে নিন অবস্থা যে নাজেহাল অবস্থা ছিল সেটা আটকে পড়েছিল যদিও তিনি গত চার পাঁচ দিন আগে কাজ শুরু করিয়ে দিয়েছেন।

সূত্রে জানা গেছে গত কিছু দিন আগে পৌর প্রশাসক অংশুমান রায় কে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুবোধ অধিকারী তার দপ্তরে বৈঠকে ডেকেছিলেন। বৈঠকে হাজির থাকারর কথা ছিল অন্যান্য সমস্ত কাউন্সিলর ও বাকি প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যদের। কিন্তু বৈঠক শুরু হবার আগেই বাকি পৌর প্রশাসকরা অংসুমান রায়কে বেইজ্জত করতে শুরু করে দেন। হেনস্থ করেন 22 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর রাজু সাহানি । ভীষণ ভাবে অপমানিত করা হয় তাকে। বৈঠকে যোগদান না করেই অংশুমান রায় বৈঠক ছেড়ে চলে যান তিনি অপমানিত এতটাই হয়েছেন যে তিনি তার পদত্যাগপত্র উচ্চ নেতৃত্বকে পাঠিয়ে দেন।

অবশেষে গত শনিবার তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ পৌরসভায় উপস্থিত হয়ে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে তার জায়গায় প্রশাসক হিসাবে আনা হচ্ছে সেই রাজু সাহনিকে । নিজের ওয়ার্ডেই মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন না রাজু। সাধারণ মানুষের কাজ পাশের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের করতে হয়। শুধু তাই নয় রাজু সাহানি তার ব্যবসায়িক কাজে সবসময় লিপ্ত পাওয়া গেছে ।বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে তাকে চোখে দেখতে পাওয়া যায় না । ভীষণ ক্ষোভ রয়েছে তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ।এমন অবস্থায় রাজু সাহানি কে  পৌর প্রশাসক করার চেষ্টা কতটা সাধারণ মানুষের পক্ষে হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রে জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান অংশুমান রায় কে তার জায়গা থেকে সরানোর চেষ্টা চলাছিল একটি গোষ্ঠী। তাকে সরানোর জন্য সক্রিয় ছিল অর্জুন পন্থী গোষ্ঠী, কিন্তু তার বিরুদ্ধে বহু চেষ্টা করেও তারা অংশুমান রায়কে সরাতে পারেনি । তাকে সরাতে তার বিরুদ্ধে আনাস্থাও আনা হয়। মামলা হাই কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে যায় কিন্তু তাকে সরানো যায়নি। কিন্তু এখন জেলা সাধারণ সম্পাদক সুবোধ অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়ে সেই বিরোধীরা অংশুমান রায় কে পদত্যাগের রাস্তা প্রশস্ত করে নেয়।

রাজনীতিবিদরা বলছে যে অংশুমান রায় কে সরিয়ে তার জায়গায় যাদেরকে আনার চেষ্টা হচ্ছে তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে এসেছেন। এছাড়া তারা সুযোগ-সন্ধানী বলে এলাকায় পরিচিত। তাদের তেমন এলাকায় সুনাম নেই। এমন অবস্থায় অংশুমান রায়ের মতন একজন ভালো প্রশাসককে সরিয়ে তার জায়গায় খেয়াল খুশি মত নতুন প্রার্থীকে বসিয়ে দেওয়া আগামী দিনে নির্বাচনে বেশ ভালই প্রভাব ফেলবে।