অবতক খবর :: মোথাবাড়ি ::    গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগ। ভুয়ো বিল দেখিয়ে প্রায় ৪৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসেরই অন্যান্য সদস্যরা। এই ঘটনা জেলা নেতৃত্বকে জানানোর পাশাপাশি বিডিও-‌র কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁরা। যদিও দলীয় তদন্তের পর দোষি প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্লকের নেতারা। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন প্রধান আমিনুল ইসলাম।

কালিয়াচক-‌২ নম্বর ব্লকের গঙ্গাপ্রসাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। সংদস সভায় টিফিন সরবরাহ বাবদ টাকা তছরুপের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। জানা গেছে, ১৬টি গ্রাম সংসদের সভার টিফিন বাদদ মোট ৪৩ হাজার ৮০০ টাকার তছরুপের অভিযোগ। অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা জানান, গ্রাম পঞ্চায়েতে নিজস্ব তহবিল পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান আমিনুল ইসলাম টিফিন বাবদ ওই টাকার ভুয়ো বিল দাখিল করে পুরো টাকাটা আত্মসাৎ করেছেন।

সদস্যদের মধ্যে সুভেন্দু সাহা, মতিউর রহমান, গোলাম কিবরিয়া বিশ্বাসরা অভিযোগ করে বলেন, ‘‌গ্রাম সংসদ সভায় উনি টিফিন সরসবার করার নামে হাজার হাজার টাকার দুর্নীতি করেছেন। অথচ আমরা নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করে টিফিনের ব্যবস্থা করেছি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি একটির পর একটি দুর্নীতি করে চলেছেন। আমরা বিডিওকে লিখিত জানিয়েছি। দলীয় নেতৃত্বকেও জানিয়েছি বিষয়টি। ১৬ সদস্যের মধ্যে ১২ জন সদস্যই তাঁর বিরুদ্ধে। এর আগে প্রায় ৪ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন প্রধানের বিরুদ্ধে। যদিও ভুয়ো বিলের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে প্রধান আমিনুল ইসলাম বলেন, আমারা বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সব মিথ্যে। পঞ্চায়েতের ১৬টি সংসদের সভা করতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের খরচ হয়। প্রতিটি সংসদেই আমরা গ্রামবাসীদের কিছু-না-কিছু সরবরাহ করেছি। তবে সব খরচের ভাউচার অনুমোদন করা যায় না। অনেক সময় বিল এদিক-‌ওদিক করতেও হয়।’‌

বিডিও সঞ্জয় ঘিষিং বলেন,‘‌পঞ্চায়েত সদস্যরা এদিন লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’‌ সংশ্লিষ্ট কালিয়াচক-‌২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কো-‌চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন,‘‌প্রধানের বিরুদ্ধে সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও অভিযোগের খবর আমরা পেয়েছি। খোঁজ খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে। দু’‌পক্ষকেই নিয়ে প্রয়োজনে বসা হবে। তবে অভিযোগের নামে উন্নয়ন কে বন্ধ করার চেষ্টা কোথাও কোথাও হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি পঞ্চায়েত এর মাধ্যমে বহু উন্নয়নে নজর দিয়েছেন। এই পঞ্চায়েতে যদি প্রধান দোষি প্রমাণিত হয় শাস্তি পাবেন। কারণ দলে শুদ্ধিকরণের কাজ শুরু হয়েছে। দুর্নীতিমুক্ত দল গড়ার লক্ষ্যে রয়েছে দল।’‌