অবতক খবর,২৮ জুন,জ্যোতির্ময় মন্ডল,পূর্ব বর্ধমানঃগত কয়েকদিন ধরে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কর্মসূচি সারার পর মঙ্গলবার মন্তেশ্বরে নির্বাচনী কর্মীসভা ও জনসভা করলেন তৃণমূলের রাজ্য যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। দিনভর মাঝেরগ্রাম, কুসুমগ্রাম ও মন্তেশ্বর বাজারের সভাকক্ষে নির্বাচনী কর্মী বৈঠকের পর মঙ্গলবার বিকালে মন্তেশ্বর মাছের বাজার এলাকায় একটি নির্বাচনী জনসভা করেন তিনি। এই জনসভা জনজোয়ারে পরিনত হয় বলে জানান জনসভার প্রধান উদ্যোক্তা আহমদ হোসেন শেখ। ছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা মন্তেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি রাসবিহারী হালদার, বর্ধমান জেলার সাধারন সম্পাদক আহমেদ হোসেন শেখ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতিমা সাহা, কর্মাধ্যক্ষ শিশির ঘোষ,বর্ধমান জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক রাকিবুল শাহ,মন্তেশ্বর ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি, তন্ময় ব্যানার্জি, তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি আতিকুর রহমান শেখ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদে ব্লক সভাপতি ইসারুল মন্ডল, তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি চুয়া সোম, সহ আরো অনেকে।

সায়নী বলেন, ‘তৃণমূল কর্মীরা মাথা উঁচু করে দলের ঝান্ডাটা বয়ে বেড়ায় আর মাথা নীচু করে দরজায় দরজায় যায়।’ তার অভিযোগ , রাজ্যের সাড়ে এগারো লক্ষ বাড়ি আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার। একশো দিনের কাজ সহ, রাস্তাঘাট উন্নয়নে টাকাও বন্ধ রেখেছে। তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে স্তব্ধ করতে পারেনি। সিপিএম কে উদ্দেশ্য করে তার অভিযোগ, চিরকুট দিয়ে পার্ট টাইমার, হোল টাইমার দের কত চাকরি যে দেওয়া হয়েছে, তার হিসেব নেই। সিপিএম নেতারা রাস্তার ধার দিয়ে যেতে যেতে ভালো জমি দেখে পছন্দ হলেই সেখানে লাল পুঁতে দিত বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য ভোটটা করছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর।

এদিন বক্তব্যের মাঝে মাঝে গানের সুরে সুরে বিরোধীদের ব্যঙ্গ করেন তিনি।