অবতক খবর: নয়াগ্রামে শুভেন্দুর পদযাত্রা ঘিরে উত্তেজনা। পদযাত্রা চলাকালীন স্লোগান দেয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এর আগে গোপীবল্লভপুরের তোপসিয়ায় জনসংযোগ কর্মসূচি করেন শুভেন্দু। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে ঝাড়গ্রামে বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থীর বাড়িতে যান শুভেন্দু। বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতোকে মারধর করার ছবি ভাইরাল হয়েছিল। ওসির বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে । বিকেলে নন্দীগ্রামে জোড়া জনসভা করবেন বিরোধী দলনেতা।

গত মঙ্গলবার, রাজ্য পুলিশের এক ওসি পদমর্যাদার আধিকারিকের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের অভিযোগে সরব হতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ক্যানসার রোগে আক্রান্ত বিজেপির এক প্রার্থীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছ পুলিশের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার ঝড় বইছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যাগ করে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দু অধিকারী।

ঘটনার একটি ভিডিও-সহ ট্যুইট করে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলার ১১ নম্বর জেলাপরিষদ আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে শুভঙ্কর মাহাতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কুড়মি সমাজের এই মানুষটি দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। ঝাড়গ্রামের বিজেপি কার্যালয় থেকে সাঁকরাইল থানার পাতরা অঞ্চলে যখন নিজের বাড়ি ফিরছিলেন তখন পুলিশ শুভঙ্করবাবুকে আটকায় এবং সাঁকরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার সইফুদ্দিন কোনও কারণ ছাড়াই ওনাকে মারধর করেন। শুভঙ্কর বাবুর দোষ, উনি বিরোধী দল করেন। উনি তৃণমূলের হুমকি ও ভয় দেখানোকে উপেক্ষা করে, পুলিশের চাপকে অগ্রাহ্য করে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ছেন এবং উনি প্রার্থীপদও প্রত্যাহার করেন নি।’

এরই সঙ্গে শুভেন্দুর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ‘শুভঙ্করবাবুর ছোট্ট বাচ্চাটির সামনেই পুলিশ শুভঙ্কর বাবুকে অমানবিক ভাবে হেনস্থা ও মারধর করে, এমনকী, শুভঙ্করবাবুর স্ত্রী-সহ পরিবার বা স্থানীয়রা পুলিশের কাছে উনি যে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত সে কথা বলার পরেও পুলিশ কর্ণপাত করেনি। তাই পুলিশের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের আশা করা বৃথা, কারণ বাংলার পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে।’