অবতক খবর,৮ এপ্রিল: নবাঙ্কুর ক্লাব এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য একটি ক্লাব। সামাজিক কাজকর্মে এরা লিপ্ত বলে ঘোষণা করে থাকে। এরা একটা প্রগতিশীল ক্লাব বলে এই অঞ্চলে সুপরিচিত। নবাঙ্কুরের যে দুর্গোৎসব তার রাস্তার সামনের যে বিশাল জাঁকজমকপূর্ণ তোরণদ্বার, কাঁচরাপাড়া অঞ্চলে সাধারণত দুর্গোৎসবে এমন তোরণদ্বার দেখা যায় না।

সে যাই হোক,এই ক্লাব রাজনীতিতে এমন একটি প্রগতিশীল ক্লাব‌ রাজনৈতিক পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।এই ক্লাবের সঙ্গে জড়িত ওই অঞ্চলের যুবক,নারী,যুবতী এবং গৃহবধূরা। অবস্থা বিশ্লেষণে যা দেখা যাচ্ছে এই ক্লাব সদস্যরা এবং এই নারীরা ক্রমাগত রাজনৈতিক পণ্যে পরিণত হচ্ছে। আজকে লাল তো কালকে নীল, পরশুদিন গেরুয়া,এই বিভিন্ন দলের কাছে এদের মাথা নত করতে হচ্ছে।

এই ক্লাবটি প্রথমে তথাকথিত সিপিএমের দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। পরবর্তীতে ক্ষমতার পরিবর্তনে তারা তৃণমূলে চলে আসে। ‌ পরবর্তীতে সম্প্রতি ৬ এপ্রিল এই ক্লাবটি বিজেপিতে যোগদান করে। এতে নেতৃত্ব দেন তপন গুহ মজুমদার। তিনি জানান যে,তারা বর্তমানে বিজেপিতে যোগদান করছেন এবং এই বীজপুর কেন্দ্রের বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায়ের হাত ধরে তারা বিজেপির পতাকা তুলে নেন এবং ঘোষণায় তিনি বলেন, ৫০০ জন ক্লাব সদস্য যোগদান করলেন। কিন্তু বিশ্লেষণে দেখা যায় যে ওই নবাঙ্কুর ক্লাবে ৫০০ কর্মী বা সদস্য নেই। সার্বিকভাবে ধরলে তাতে ১০০-১২০ জন মত সদস্য-কর্মী আছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু এক অংশ প্রভাব বিস্তারের কারণে বিজেপিতে চলে আসেন। কিন্তু সদস্য যদি ১০০ জন ধরা যায় তাহলে বাকি ৫০ জন যে সদস্য বা কর্মীরা রয়েছেন তারা কিন্তু তৃণমূল রাজনীতিতে আসক্ত হয়ে রয়েছে।

আসলে নবাঙ্কুর ক্লাব নিয়ে একটা নাট্যাভিনয় চলছে। ‌এক অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তরুণ মজুমদার এবং অন্য অংশে নেতৃত্বে রয়েছেন মিন্টু শর্মা। মিন্টু শর্মা তৃণমূল গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তৃণমূলের পক্ষে বক্তৃতা দিয়েছেন। তিনি সেখানে রীতিমতো ঘোষণা করেছেন তাদের এই যে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা সেটি হবে মূলত সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর বিরুদ্ধে। সেখানে বিজেপি দল কোন ফ্যাক্টরই নয়।

অনেকে মনে করছেন যে, এই দুটি ক্লাব এই অংশে বিভক্ত হয়ে এমন একটি অবস্থা তৈরি করে রাখতে চাইছে, পরবর্তীতে যে দল ক্ষমতায় আসবে সেই দিকেই তারা ঝুঁকে যাবে।এই অঞ্চলের অধিবাসী পুরুষ ও মহিলারা যারা নবাঙ্কুর ক্লাবের সাংস্কৃতিক, সামাজিক কর্মকান্ড এবং পুজোর সঙ্গে জড়িত তারা বলছেন এই ক্লাবকে একদল পণ্য বানাতে চাইছেন। ফলত নবাঙ্কুর ক্লাবে নিজেদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।

এই অঞ্চলের মহিলারা যারা এতে জড়িত রয়েছেন, তারা এই খেলাকে পছন্দ করছেন না। এইভাবে বারবার দল পরিবর্তন করা তাদের কাছে লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তারা রাজনৈতিক পণ্যে পরিণত হচ্ছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। নেতৃত্বদের এই যে দোলাচল সেটিকে তারা পছন্দ করছেন না।