অবতক খবর,৩ ডিসেম্বর: ধেয়ে আসছে জাওয়াদ,আবার সুপার সাইক্লোনের সতর্কতা জারী। ওড়িশা উপকূল থেকে অভিমুখ ঘুরে প্রবল বর্ষণের আশংকা রাজ্যে উত্তর ২৪পরগনা সহ সাতটি জেলায়।এজেলার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, হাসনাবাদ সহ দশটি ব্লকের নতুন করে নতুন বিপর্যয়ের দিন গুনছেন সাধারণ মানুষ। আন্দামানে তৈরি হাওয়া জাওয়াদ ইতিমধ্যে বাংলার বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকা গুলোতে ভারী অতি ভারী বৃষ্টি সেইসঙ্গে প্রবল ঝড় বইতে পারে সর্তকতা জারি হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকা গুলোতে।

উওর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমা শাসকের দপ্তরে মূল পয়েন্ট করা হয়েছে। সেখানে ভিডিও কনফারেন্সে থাকবেন উত্তর 24 পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বসিরহাট মহকুমা শাসক মৌসম মুখার্জি, বসিরহাট মহাকুমার মধ্যে 10 টি ব্লকের বিডিও ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তারা যোগাযোগ রাখবেন।

ইতি মধ্যে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং প্রচার শুরু করে দেয়া হয়েছে, একদিকে নদীর পাড়ে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। অন্যদিকে উঁচু জায়গা ত্রাণশিবির স্কুল বাড়িতে যাওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবেলা দলকে। সব মিলিয়ে নতুন করে সুন্দরবনের নদীর পাড়ে মানুষরা আতঙ্কের সিঁদুরে মেঘ দেখছে।

বসিরহাট মহকুমা শাসক মৌসম মুখার্জি বলেন ইতিমধ্যে এনডিআরএফ দলকে সন্দেশখালিতে পাঠানো হয়েছে ,পাশাপাশি উপকূলবর্তী এলাকা মানুষকে ত্রাণশিবির ও স্কুল বাড়িতে রাখা হচ্ছে। করণা বিধি মেনে,তার পাশাপাশি মাইকিং প্রচার চলছে। পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, মৎস্যজীবীদের নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আমাদের এই দপ্তর থেকে সব রকম প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে পাশাপাশি যেসব দুর্বল নদীবাঁধ রয়েছে সেগুলো সেচ দপ্তর পরিদর্শন করছেন। আগাম দুর্বল বাঁধের মেরামত কাজ চলছে। দিবারাত্র প্রশাসন নজর রেখেছে।

কিন্তু প্রশ্ন জাগছে সুন্দরবন বাসীর, একের পরে এক সাইক্লোন আসড়ে পড়ছে সুন্দরবন এলাকায়। বারবার গ্রামের মানুষের দাবি জানিয়েছে নদীরপাড় গুলো কংক্রিট করে দেয়ার জন্য, এই নিয়ে সুন্দরবন মানুষ অনেক আন্দোলন অবরোধ-বিক্ষোভ দেখিয়েছে নিজের ও পরিবারের জীবন রক্ষা করতে। কিন্তু একটার পর একটা সাইক্লোন আসছে আর যাচ্ছে কিন্তু নদী বাঁধের দিকে নজর নেই প্রশাসনের শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েই চলেছে একের পর এক সরকার, সাধারণ মানুষের কথা কেউ ভাবে না। নতুন করে আরও ক্ষয়ক্ষতি হলে তাঁরা কি করবেন ভেবেই দিশেহারা সুন্দরবনবাসী….