দোল পূর্ণিমায় আমি যা দেখি
তমাল সাহা

১) রাই বলে

রাই বলে,
কি আর কহি তোরে ঘনশ্যাম
তোরে সঙ্গ করি ব্রজে বৃন্দাবনে
যমুনায় নন্দন কাননে কুঞ্জবনে গিয়াছি বিহারে

আজি আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ
দোলযাত্রা মোরে নিয়ে চলো তিহারে!

২) রে কালাচাঁদ

ষোলোশত গোপিনী সঙ্গে রাধা
কৃষ্ণরে কত যে প্রেম
তোর হৃদয়ে ছিল বাঁধা!

এতো রঙ এতো অবগাহন
তোর একটি আলিঙ্গন
তোর লাগি এতো চুয়া চন্দন!

রাই বলে, ওগো শ্যাম
অঙ্গে ধরো মোরে
চাহিনা জাতক আমি
চির যৌবন চাহি
মারো মারো মোরে অন্তরে।

দোলপূর্ণিমা, আকাশে নগ্ন চাঁদ।
এ ধরায় হে কৃষ্ণ!
তুমি পাতিলে কোন ফাঁদ?

৩) চৈতন্যের জন্মদিনে

প্রেম! প্রেম! প্রেম!
চেতনা নেই, ডাক দিয়ে যাই
হরিবোল শ্রীচৈতন্য, শ্রীচৈতন্য।
কারা কাঁদিয়া যায় প্রেম কোথায়
হা অন্ন! হা অন্ন?

চৈতন্য বলে, চলিয়া গিয়াছে আমার যুগ
নাটক নামাও অন্ন সংগ্রামে অন্য চৈতন্য
সমবেত হোক দুনিয়ার মানুষ সব নিরন্ন।

৪) আজ ধর্মঘট

রাধা প্রেম, কৃষ্ণ প্রেম অনেক হলো
তুমি কখনো রাধা কখনো মীরা
লায়লা মজনু অনেক গল্প হলো
হাতে বিষাদের একতারা।
বাকি রইলো না রোমিও জুলিয়েট!
কারা বসে আছে পথে
খিদে ভর্তি চুপসানো পেট?

কখনো নামলে না পথে দেখলে না সংকট
খিদে পেটে প্রেম হয় নাকি
তাহলে শব্দটি কেন সৃষ্টি হল ধর্মঘট!

৫) হেলদোল

হেলদোল শব্দটি নিয়ে ভাবি
দোলখেলা হয়ে গিয়েছে,
হেল শব্দটি নিয়ে বসে আছি।

হেল মানে বোধ করি হেলাফেলা
তাই এতো শিশুমৃত্যু নিয়ে ছেলেখেলা!

হেল যদি ইংরেজি শব্দ হয় তার মানে নরক।
কৃষ্ণ রাধিকা পূর্ণিমার চাঁদ দেখে
রঙের সোহাগে ফাগ মাখে দেখে এ দেশে শিশুর মড়ক!