অবতক খবর,২৬ নভেম্বরঃ দুয়ারে সরকারের পর এবার দুয়ারে পুলিশ ও তার জনসংযোগ। থানাতে যাওয়ার পরিবর্তে পুলিশ এবার আসবে দুয়ারে এমনটাই দাবি হাওড়া সিটি পুলিশের।

রাজ্যে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে দুয়ারে সরকার। যাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। তবে তারই মধ্যে হাওড়া সিটি পুলিশ এলাকার মধ্যে শুরু করা হয়েছে দুয়ারে পুলিশ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে দুয়ারে পুলিশ বলে স্বীকার না করা হলেও তাঁদের দাবি এটা প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে পুলিশের সরাসরি জনসংযোগ।

ইতিমধ্যেই ১৬/১১/২২ তারিখে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বলুহাটি, হাটতলা, ডোমজুড় এই কর্মসূচি পালন করেছে ডোমজুড় থানার আধিকারিকরা।

ডোমজুরের পড়ে সেই তালিকাতে নাম লিখিয়েছে শিবপুর থানাও।

পুলিশ সূত্রে জানান হয়েছে শুধু থানা থেকে পরিষেবা দেওয়া নয়, এবার পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে পুলিশি পরিষেবা প্রদান করার উদেশ্য নিয়েই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার নারী এবং কন্যা সন্তানদের সাথে বাল্যবিবাহ, মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতন,পথ নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সম্যক সচেতনতা তৈরীর প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে। নারী ও কন্যাদের ওপর ঘটে যাওয়া নানান অপরাধ প্রতিরোধ ও আইনি রক্ষা কবজ নিয়েও আলোচনা করা হয়।

আজকে শনিবার ডোমজুড় বিধানসভা এলাকার হাওড়া সিটি পুলিশের ডোমজুড় থানার পক্ষ থেকে পুলিশি পরিষেবা আয়োজন করা হয়। রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প সরকারী প্রকল্পের সুবিধা যাতে সাধারণ মানুষ গুলি পায় ঠিক তেমনই হাওড়া সিটি পুলিশের উদ্যোগে গ্রামীণ এলাকায় এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হলো। সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনতে প্রশাসনের মতো পুলিশ তাদের দুয়ারে এসে পৌঁছালো। এখনও সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই থানায় যেতে ভয় পান তাঁদের সেই ভয় দূর করতে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে পুলিশের ভালো সম্পর্ক তৈরী করার লক্ষ্যে এই ক্যাম্প বলেই জানা যাচ্ছে পুলিশ সূত্রে।

এছাড়াও এলাকার অনেক মানুষ এই ক্যাম্পে এসে তাদের নানা রকম সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানালেন। শনিবারের এই ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি (দক্ষিণ) , ডোমজুড় থানা ও ডোমজুড় পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকরা।

এসিপি (দক্ষিণ) জানান এই ক্যাম্পের উদেশ্য শহরের থানাগুলোতে যেভাবে কোন ঘটনা ঘটলে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেই ব্যবস্থার ঘাটতি রয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশের অন্তর্গত ডোমজুড় থানাতে। এখানে তাঁদের যে টিম ও নেটওয়ার্ক কাজ করে তাঁর সবটাই গ্রামীণ হাওড়ার সঙ্গে জুড়ে আছে। তবে সাধারণ মানুষ চায় দ্রুত ব্যবস্থা। তবে একদম প্রান্তিক স্থানগুলোতে সাধারণ মানুষকে তাঁদের পুলিশের থেকে নূন্যতম পরিষেবা পেতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। তাই তিনি এই দুটি থানার অধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই পরিকল্পনা নেন। ডোমজুড় থানার অন্যান্য এলাকাতেও পরে এই করা হবে। এই স্থানগুলো নিকটবর্তী থানগুলো থেকে সবচেয়ে দূরত্বে রয়েছে। পাশাপাশি এটাও তারা দেখতে চান সাধারণ মানুষ এই ক্যাম্পগুলোতে এসে কি ভাবে তাঁদের সঙ্গে বার্তালাপ করে ও তাঁদের পুলিশের থেকে পরিষেবা পাওয়ার সময় যত কম করা যায় সেই উদেশ্য নিয়েই এই ‘পাড়া পুলিশ’ ধাঁছে দুয়ারে পুলিশ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেখানে সাধারণ মানুষকে থানাতে আসতে হবে না পুলিশ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাবে বলেই দাবি করেন এসিপি (দক্ষিণ)

ডোমজুড় থানা এলাকার অনেক প্রান্তিক এলাকার সাধারণ মানুষ আজকে এই ক্যাম্পে এসে তাঁদের অভাব- অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। স্থানীয় পঞ্চায়েতকে বলে যে যে সমস্যার সমাধান তারা পান নি। তাঁদের আশা এই পুলিশের ক্যাম্প থেকে তাঁদের সমস্যার সমাধান যদি হয়। তাই এই ক্যাম্পে আজকে প্রান্তিক এলাকার মানুষ বিশেষ করে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।