অবতক খবর,৭ জানুয়ারি,বাঁকুড়া:- জীবনের চূড়ান্ত ঝুঁকি নিয়ে হাতির দলকে তাড়িয়েও মাসের পর মাস ধরে মিলছে না মজুরী। বাধ্য হয়ে বন দফতরের রেঞ্জ অফিসে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভে সামিল হলেন হুলা পার্টির সদস্যরা। আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বন দফতরের বাঁকুড়ার সোনামুখী রেঞ্জ অফিসে।

বাঁকুড়া জেলায় হাতি সমস্যা দীর্ঘদিনের। ফি বছর নিয়ম মেনে হাতির দল পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা পেরিয়ে ঢুকে পড়ে বাঁকুড়া জেলায়। জেলার বিষ্ণুপুর, জয়পুর, সোনামুখী, পাত্রসায়ের,  বড়জোড়া,  গঙ্গাজলঘাটি ব্লকে বছরের একটা বড় সময় ধরে দাপিয়ে বেড়ায় এই হাতির দল। এই হাতির দল বাঁকুড়ায় প্রবেশ করলেই ডাক পড়ে হুলা পার্টির। জীবন বিপন্ন করে হাতির দলের হাত থেকে সাধারণ মানুষের ফসল, ঘরবাড়ি ও প্রাণ রক্ষা করেন হুলা পার্টির সদস্যরা। বন দফতরের নির্দেশে হাতির দলকে খেদানোর দায়িত্বও এই হুলা পার্টির সদস্যদের কাঁধে। এজন্য বন দফতরের তরফে দৈনিক মজুরী মেলে। কিন্তু গত দু’বছর ধরে মজুরী দেওয়া প্রায় বন্ধ।

সময়মতো মজুরী না মেলার প্রতিবাদে এবার বড়সড় আন্দোলনে নামলেন হুলা পার্টির সদস্যরা। আজ প্রায় হুলা পার্টির প্রায় শতাধিক সদস্য বন দফতরের সোনামুখী রেঞ্জ অফিসে হাজির হয়ে অফিসের মূল প্রবেশপথে তালা লাগিয়ে দেন। বকেয়া মজুরীর দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভও।  তালাবন্দী হয়ে পড়েন ওই দফতরের কর্মীদের একাংশ। প্রায় চার ঘন্টা পরেও হুলা পার্টির বিক্ষোভ না ওঠায় দীর্ঘ সময় তালাবন্দী অবস্থায় কাটাতে হয় কর্মীদের। পরে বন দফতরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা গিয়ে আস্বাস দিলেও বিক্ষোভকারীদের অবস্থান থেকে নড়ানো যায়নি। অবিলম্বে বকেয়া মজুরী না দিলে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বন দফতরের দাবি দু’বছরে হুলা পার্টির কর্মীদের মজুরী একটু একটু করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের আস্বাস এখনো বাকি থাকা মজুরী দ্রুত দিয়ে দেওয়া হবে।