অবতক খবর,৩১ জানুয়ারি : কোর্টের নির্দেশে অবশেষে চাকরি (SLST SSC) পাচ্ছেন ইলিয়াস বিশ্বাসরা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। গান্ধী মূর্তিতে আন্দোলনের ৭০০ দিন হতে চলল। আর ক’টা দিন পেরোলেই ২ বছর সম্পূর্ণ হবে এই আন্দোলনের। এই চাকরি প্রার্থীদের একটাই দাবি, সকলকে চাকরি দেওয়া হোক। আগে ৫১ জন চাকরি পেয়েছেন। মঙ্গলবার আরও ১৪ জন সুপারিশপত্র নিতে এসেছেন। আন্দোলনের নেতা ইলিয়াস বিশ্বাস চাকরি পাচ্ছেন। তবে তাঁর আনন্দের থেকে দুঃখই বেশি। কারণ, গান্ধী মূর্তিতে এখনও অন্ধকারেই চাকরিপ্রার্থীদের একটা বড় অংশ। এখনও ফুটপাথে তাঁরা। জানেন না, নিয়োগ পাবেন কি না, পেলে কবে।

এই ইলিয়াস বিশ্বাসরা প্রশ্ন বিভ্রাটের মামলাকারী। ২০১৬ সালে এসএলএসটি নবম-দশমের চাকরি প্রার্থী। এদিন সুপারিশ পত্র নিতে এসে ইলিয়াস বলেন, “আমরা আপাতত কয়েকজন পাচ্ছি। তবে আমাদের লড়াইটা সার্বিকভাবে ছিল। তাতেই সকলে সুপারিশপত্র না পাওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট নই। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রায় ৭০০ দিন হতে চলল ধরনা চলছে। আমাদের দাবিও ন্যায্য। আমাদের চাকরি চুরি গিয়েছে সেটা ভুললে চলবে না। আজ কোর্টের অর্ডারে আমরা এসেছি। আমাদের প্যানেলের বাকিরাও এই সুপারিশপত্র পাক সেটাই চাইব। সকলের চাকরিতেই আসল আনন্দ, জয়ের আনন্দ।”

অন্যদিকে এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “এর আগে আমরা ৬৫ জনকে ডেকেছিলাম। সম্ভবত ১১ জানুয়ারি। সেদিন ১৩ জন অনুপস্থিত ছিলেন। ১ জন চাকরি নিতে চাননি। ৫১ জন নিয়েছিলেন। বাকি ১৪টি শূন্যপদ ছিল। এবার মেধাতালিকা মেনে পরবর্তী ১৪ জনকে বিভিন্ন বিষয়ে আমরা ডাকলাম। তাঁরা মাধ্যমিক বোর্ড থেকে নিয়োগপত্র পেয়ে কাজে যোগ দিতে পারবেন।”