অবতক খবর,৩১ জানুয়ারি : অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ‘মিড ডে মিল’-এর খিচুড়িতে আরশোলা চাঞ্চল্য চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া এলাকায়। খবর পেয়ে কেন্দ্রে জয়েন্ট বিডিও। ‘মিড ডে মিল’-এর খাবার নিয়ে যখন জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, তার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ‘মিড ডে মিল’-এর খেঁচুড়িতে আরশোলা পাওয়ার অভিযোগকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য। ওই এলাকার এক বাসিন্দা সুমন রায়ের ছেলে ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশোনা করে। সুমনের অভিযোগ, তার ছেলের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে ‘মিড ডে মিল’-এর খিচুড়ি নিয়ে গেলে বাড়িতে গিয়ে কৌটা খুলতেই দেখা যায় খিচুড়ির মধ্যে আস্ত একটি আরশোলা। সেদ্ধ হয়ে গলেছে সেটা। সেই খাবার নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে দেখানো হলে কেন্দ্রের সহায়িকা ও রাঁধুনি ঘটনার অন্যান্য শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘মিড ডে মিল’-এর খিচুড়ি না খাওয়ার জন্য নিষেধ করে আসেন।

এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ধামকুড়িয়া এলাকায়। এত কিছুর পরও এত অব্যবস্থা! ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক থেকে এলাকাবাসী। যদিও এই ঘটনায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা কাকলি চক্রবর্তী জানান, “ঘটনার কথা এক অভিভাবক জানালে আমরা ভুল শিকার করে নিয়েছি,হয়তো এই ঘটনা ঘটতেও পারে। তবে আমরা তড়িঘড়ি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই খাবার না খাওয়ার জন্য নিষেধ করে এসেছি।” ঘটনার খবর পেয়ে কেন্দ্রে পৌঁছন চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও অভিজিৎ পোড়িয়া। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখেন। তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগ শুনে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এসে বিষয়টি দেখা হয়েছে। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তিনি জানান, সমস্ত কিছু বিডিও ও সিডিপিওকে জানানো হচ্ছে তারপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে। আরশোলার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, মূলত গ্রামবাসীদের তরফে কী অভিযোগ ছিল, তা শুনে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে বয়ান নিয়েছি। ঘটনা কী বোঝার চেষ্টা করলাম, যা বুঝতে পারা গিয়েছে, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।