অবতক খবর: কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের গ্রামে, তিনি যে বুথে ভোট দেন, সেই বুথেই জিতে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা গ্রামের ২৫ নম্বর বুথে ভোট দেন দিলীপ। পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বে তাঁর বুথে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিজেপি। মঙ্গলবার সেই বুথে এক নির্দল প্রার্থীকে হারিয়ে জিতেছেন তৃণমূলের শিবানী দেউলী। যা শুনে দিলীপের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমরা তো লড়াইয়েই ছিলাম না।’’ প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতে নিজের বুথে ভোটও দিতে আসেননি দিলীপ।

পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বেই দিলীপের বুথে বিজেপির প্রার্থী দিতে না পারা নিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়েছিল বিজেপি। শাসক দলের নেতৃত্ব ওই সময় বলেছিলেন, ‘‘মানুষ যে বিজেপির সঙ্গে নেই, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে খোদ দিলীপবাবুর গ্রামে তাঁর বুথেই প্রার্থী জোগাড় করতে পারেনি দলের নেতৃত্ব।’’

বিজেপি অবশ্য কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েতে শুধু ওই একটি আসনেই প্রার্থী দিতে পারেনি। গোপীবল্লভপুর দুই ব্লকের কুলিয়ানা গ্রামপঞ্চায়েতের মোট আসন ১৩। এর মধ্যে কুলিয়ানা সংসদে রয়েছে দু’টি বুথ। এর মধ্যে কুলিয়ানার বুথ নম্বর ২৫-এ শুধু প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। বাকি বুথগুলিতে বিজেপির প্রার্থী দিতে পেরেছে। যদিও মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত শুধু ২৫ নম্বর বুথে নয়, ২৪ নম্বর বুথেও জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের আরও একজন প্রার্থী সুকোমল মহাপাত্র। সুকোমলের কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন। সুকোমল ৪০ ভোটে জয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা প্রার্থী দিতে পারিনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছিল নির্দল। তৃণমূলের সন্ত্রাসের মোকাবিলা যেখানে বড় রাজনৈতিক দলগুলিই করতে পারছে না, সেখানে নির্দল কী করবে?’’ অন্য দিকে, দিলীপের গ্রামে তাঁরই বুথে তৃণমূলের প্রার্থীর জয়কে ‘বিশেষ চোখে’ই দেখছেন দলের স্থানীয় নেতৃত্ব। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি টিঙ্কু পাল বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষের বুথে তৃণমূল প্রার্থী জিতেছে। বিজেপি ওখানে প্রার্থীই দিতে পারেনি। এটা আমাদের বড় সাফল্য।’’