অবতক খবর,২৪ জানুয়ারি : আজ সাংগবিদকদের মুখোমুখি হয়ে বিশেষ বিশেষ কিছু বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন – মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি ঘিরে ‘দিদির দূত’ ঘুরছেন জেলায় জেলায় সেই প্রসঙ্গেই কুনাল বলেন, দিদির দূত ঘুরছেন। অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের ক্ষোভ শুনার জন্যই আমাদের দূত যাচ্ছে। এত কাজ হয়েছে। সাধারণ মানুষ যদি কোথায় বিক্ষোভ দেখায় সেটা সামান্য। বিক্ষোভ দেখানো একটা রাজনীতিক ভাষা। কোথায় রাস্তা খারাপ আছে মানুষ নিশ্চয় করবেন। রাজনীতিক ভাবে পোস্টের লাগানো হচ্ছে। বহু জায়গায় ‘দিদির দূত’-রা যাচ্ছেন। ২০ টা রাস্তা খারাপ হওয়ার পর যদি একটা রাস্তা খারাপ হয়। তাহলে সেই বিক্ষোভ কে ইতিবাচক দেখছে দল।

এছাড়াও কুনাল নানান বিষয়ে তার মতামত প্রকাশ করেন-

  • নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের বিষয় সম্পূর্ন তদন্তের কথাও বলেন কুনাল ঘোষ।
  • বিজেপির জামানায় দেখাগেছে যত ‘জি’ আছেন তারা এসেছেন। তার পরেও ঘোড়ার ডিম হয়েছে। সারা দেশে দুয়ারে সরকার ১ নম্বরে। তৃণমূলের কপি করছে বিজেপি। ত্রিপুরায় সন্ত্রাস করে বিজেপি জিতেছিল। ৩০% ভোট পেয়েছিল তৃণমূল।
  • যারা চাকরি প্রার্থী রয়েছেন তাদের আন্দোলন করার অধিকার আছে। সত্যি যদি কেউ বঞ্চিত হয়ে থাকে তবে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের পাসে থাকবে।
  • অন্ধ তৃণমূল বিরোধিতা করার জন্য যারা ধর্মতলা কে অচল রাখলেন। তাদের কে পুলিশ বার বার বলেছিল। পুলিশ যদি নীরব থাকতো তখনও এটা নিয়ে সস্তা রাজনীতি করার চেষ্টা করা হতো। এখনো চেষ্টা করা হচ্ছে।
  • এগুলি রাজনীতিক ভাষা । ফুরফুরা শরীফ আমাদের জন্য শ্রদ্ধার জায়গায়। কিন্তু ধর্মগুরুরা রাজনীতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আচরণ করলে সেটা কাম্য নয়। আমি ধর্মগুরু দের প্রশ্ন করব, রাস্তা বন্ধ করে মানুষ কে হয়রানির শিকার করা কি ঠিক ছিল? ধর্মগুরুরা রাজনৈতিক নেতা হিসাবে আচরণ করবেন, সেটা আশা করি না।
  • বিজেপি হিন্দু বুথ মুসলিম বুথ এইসব বলেছে। মুসলিম-দের জেহাদি বলেছে শুভেন্দু । এখন সংখ্যালঘু দের ভোট নেওয়ার চেষ্টা করছে। এখন হিন্দু ভোট ব্যাঙ্কে ধস নেমেছে। তাই মুসলিম ধর্মের দিকে তাকিয়েছে বিজেপি।
  • বিজেপির মধ্যে চূড়ান্ত গোষ্ঠীবাজি চলছে। নিজের লড়াইয়ের জন্য রাজ্য কে অচল করছে বিজেপি। কল্যানী AIMS-এ যে দুর্নীতি ধরা পড়েছে তা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
  • আবাস যোজনা নির্দিষ্ট সময় টাকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। সাড়ে চার বছরের একটা তালিকা তারা পাঠিয়ে দিয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে যে তালিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোনো অভিযোগ মান্যতা পাচ্ছে না। দুই এক জায়গায় ভুল হয়েছে সেটা খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • কেন্দ্র সরকার টাকা দিতে পারছে না। রাজনীতি করছে বেশি। শেষ মুহূর্তে যদি টাকা দেয় তাহলে তো সময় তো লাগবে।
  • আমার একটা বক্তব্য শুভেন্দু যতদিন তৃণমূলের ছিলেন তখন তারা অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড করেছেন তারা তালিকা দিন। কাঁচের ঘরে বসে কুৎসা করছেন শুভেন্দু।