অবতক খবর,২৫ জুলাইঃ বর্তমানে পৌরসভার নির্বাচন শেষ হয়েছে প্রায় 14 মাস হয়ে গিয়েছে। যদিও একাধিক জায়গায় বিরোধী শূন্য করে পৌরসভার ক্ষমতা দখল করেছেন রাজ্যে শাসক দল তথা তৃণমূল কংগ্রেস।

পাশাপাশি হরিণঘাটা বিধানসভার অন্তর্গত হরিণঘাটা পৌরসভায় 17 টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিরোধী শূন্য করে ক্ষমতায় দ্বিতীয় বারের জন্য দখল করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস।

যদিও হরিণঘাটা পৌরসভার ক্ষেত্রে টিকিট বন্টন ও জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে কে কাউন্সিলার থেকে চেয়ারম্যান হবে তা নিয়ে ক্রমাগত বোর্ড গঠনের আগে থেকেই অনেকটাই চাপ ছিল প্রশাসনের ওপর এবং তৃণমূল কংগ্রেসের উচ্চতর নেতৃত্বের কাছে।

ভোট তো মিটে গেছে পৌরসভার বোর্ড গঠন হয়েছে হরিণঘাটা পৌরসভার নতুন চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে হরিণঘাটা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি দেবাশীষ বসুকে।

যিনি এবারে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতীকে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

পাশাপাশি বর্তমানে প্রায় 14 মাসের কাছাকাছি হয়ে গেলেও নতুন বোর্ডের মেয়াদ এখনো পর্যন্ত কোনো কাজই ওয়ার্ডে সেই ভাবে হচ্ছে না দাবি করছেন ১৭ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা। পাশাপাশি কোথাও যেন নতুন পোলো বোর্ডের আধিকারিকরা এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ যিনি আনতে পারছেন না এমনটাও অভিযোগ করছেন তারা।

পৌরসভার পক্ষ থেকে যে এলাকার কাজ করার কথা বলা হয়েছিল নির্বাচনের আগে তা অনেকটাই এখন বন্ধ আছে। পাশাপাশি যেই সমস্ত কাজগুলো করা হচ্ছিল সেগুলোও বন্ধ হতে চলেছে। এলাকার দুপাশে বিভিন্ন ওয়ার্ডে জমছে ময়লা,পাশাপাশি বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলের যে ব্যবস্থা করা হয়েছিল বাড়ি বাড়ি সেই জল ও ইতিমধ্যে আসছে না সময়মতো তা নিয়ে একাধিক ক্ষোভ দিচ্ছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষরা।

সাধারণ মানুষরা এটাও দাবি জানাচ্ছেন নতুন বোর্ড গঠন হওয়ার পরে প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা রাজীব কুমার দালাল বদমেজাজি রাগী হলেও তিনি এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করতেন। এবং অনেকটা কাজই উনি উন্নয়নের মাধ্যমে কাজে গিয়েছিলেন সেগুলো বন্ধ হয়েছে এবং আগে যে যে সমস্ত কাজ করা হতো সেগুলো যেমন বন্ধ হয়েছে ঠিক তেমনি নতুন ভাবে নতুন পরিকল্পনা বারবার পৌরসভা থেকে করলেও সেই সবগুলো কোনটাই বাস্তবায়ন হয়নি এখনো অব্দি। বারবার পৌরসভার ভূমিকা এবং বোর্ড গঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবার সাধারণ মানুষের মধ্যে একদিকে যেমন বর্ষা ঠিক তেমনি ডেঙ্গুর প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ছে। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হরিণঘাটা পৌরসভার আধিকারিকরা বলে অভিযোগ।

পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাছে প্রতিক্রিয়া নিয়ে জানা গিয়েছে কোথাও যেন প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে অনেকটাই কাজের নিরিখে এগিয়ে রেখেছেন তারা। তারা বলছেন, প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা 17 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজীব কুমার দালাল তিনি যখন চেয়ারম্যান ছিলেন সেই সময় এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা জলের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো ও একাধিক পরিষেবা চালু ছিল। বর্তমানে সেগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষকে তার বাড়ির সামনেই ময়লা ফেলে দিতে হচ্ছে। এদিকে আবার ভ্যাটের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন চিন্তিত ছিল নতুন বোর্ডের আধিকারিক ও পুরাতন বোর্ডের আধিকারিকরা সেটাও হাতছাড়া হয়েছে পৌরসভা থেকে।

যার ফলে ১৪ মাসের যে কি কাজ হয়েছে পৌরসভার ১৭ টি ওয়ার্ডে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে।

এবং তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরদের মধ্যেও বর্তমানে এখন কথা উঠতে শুরু করেছে যে পৌরসভা এখন কোন কাজই হচ্ছে না। এদিকে দিন পর দিন দেখা যাচ্ছে নাগরিক পরিষেবা দিতে যেমন ব্যর্থ ঠিক তেমনি অনেকটাই পৌরসভার নিয়ম-নীতি দিক থেকে বদল করা হয়েছে যার ফলে ট্যাক্স ও একাধিক পরিষেবার কর বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিংবা উন্নয়ন কিছুই হচ্ছে না তা টোটালটাই স্তব্ধ হয়ে আছে।

বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বর্তমান হরিণঘাটা পৌরসভার চেয়ারম্যান দেবাশীষ বসু। তিনি বলেছেন, নতুন ভাবে নতুন করে বেশ কিছুদিনের মধ্যে এলাকার বিভিন্ন যে সমস্যা এখন বর্তমানে দেখা দিচ্ছে তা খুব শীঘ্রই মিটবে। পাশাপাশি হরিণঘাটা পৌরসভার আধিকারিকরা একটা নতুন পরিবেশ এবং পরিকল্পনা নিয়ে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে নতুন ভাবে সেজে উঠবে তার জন্য নতুন করে পৌরসভার বোর্ড গঠন হয়ে যাওয়ার পর নতুন ভাবে পৌরসভার পক্ষ থেকে নতুন বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে যার মধ্যে কিছু কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

এখন দেখার অপেক্ষা,প্রাক্তন চেয়ারম্যান যে উন্নয়ন নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছেছিল তা অনেকটা বন্ধ হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান কতটা সে উন্নয়ন আরও বাস্তবায়িত করে তুলতে পারে সেই দিকে তাকিয়ে সাধারণ মানুষ।