অবতক খবর, অভিষেক দাস, হুগলি :: ত্রিকোন প্রেমের জেরে নৃশংস খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরো দুই,মূল অভিযুক্ত বিশাল দাস এখনো অধরা।আজ চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ূন কবির ডিসি তথাগত বসু,এসিপি(ডিডি) বিক্রম প্রসাদ,এসিপি পলাশ ঢালিকে নিয়ে বিষ্ণু মালের বাড়িতে যান।বিষ্ণুর বাবা গোপাল ও মা কুন্তি মালের সঙ্গে কথা বলেন।বিশালকে বিষ্ণু চিনত কিনা বিশালের ছবি দেখিয়ে জানতে চান।বিষ্ণুর বাবা মা জানিয়ে দেন তারা বিশালকে দেখেন নি।পুলিশ কমিশনার তাদের জানিয়ে দেন উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে বিশালকে।

সিপি জানান,চুঁচুড়া মারকন্ড গলির এক তরুনীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বিশালের।বিশাল একটি খুনের ঘটনায় প্রায় আড়াই বছর জেলে ছিলো।জেল থেকেই সে জানতে পারে ওই তরুনীর সঙ্গে কামারপাড়ার বিষ্ণুর সম্পর্কের কথা।জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর গত ১০ অক্টোবর সন্ধায় বিষ্ণুকে পিস্তল ঠেকিয়ে বাইকে চাপিয়ে তুলে নিয়ে যায়।বিষ্ণুর জন্যই তার প্রেমিকা দূরে সরে যাওয়া প্রতিশোধ নিতে বিষ্ণুকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে।দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরে কিছু অংশ বৈদ্যবাটি খালের পাশে ফেলে দেয়।

চাঁপদানীর যে ভাড়া বাড়িতে রামকৃষ্ণ মন্ডল থাকত সেই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে চপার দিয়ে খুন করে বিষ্ণুকে।আজ সিপি হুমায়ূন কবির সেই বাড়িতে যান ধৃত দুজনকে নিয়ে ঘটনার পুনঃনির্মান করা হয়। খুন করে বাজার থেকে নাইলনের ব্যাগ কিনে এনে দেহাংশ ভরে কি ভাবে তা দেখায় রামকৃষ্ণ মন্ডল।সেখান থেকে দিল্লী রোড বৈদ্যবাটি খালে নিয়ে যাওয়া হয় ধৃতদের।যেখানে দেহাংশ ফেলেছিলো।সেখান থেকে হাত পা পাওয়া গেলেও ধর আর মাথা এখনো পাওয়া যায়নি।গতকালই শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে দেহাংশ দেখে শনাক্ত করে বিষ্ণুর বোন কাজল মাল।ফরেনসিক ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় উদ্ধার হওয়া দেহাংশ।

মূলত ভয় দেখিয়ে তোলা আদায় করা ছিলো বিশাল দাসের কাজ।প্রথমে চুঁচুড়া রবীন্দ্রনগরের কুখ্যাত দুষ্কৃতি টোটোন বিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করত।পরে টোটোনের সঙ্গ ছেড়ে নিজেই তোলাবাজি শুরু করে।২০১৮ সালে টোটোনের দাদা তারক বিশ্বাসকে দিনের তার ডেরায় ঢুকে গুলি বোমা মেরে খুন করে।কিছুদিন পর গ্রেফতার হয়।সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে জামিন পায়।ভর সন্ধায় তুলে নিয়ে গিয়ে বিষ্ণু মালকে খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।ঘুম ছুটেছে চন্দননগর পুলিশেরও।তাই বিশালকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার কথা বলছেন সিপি।যদিও মৃত যুবকের অসহায় বাবা গোপাল মাল বলছেন, আর কি হবে শিক্ষা দিয়ে। ষোলেদিন ধরে ছেলেটা নিখোঁজ ছিলো পুলিশ খুঁজে দিতে পারল না।