অবতক খবর, সংবাদদাতা,২২ অগস্ট ::  ১৫ ই আগষ্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন খানাকুলের নতিবপুর এলাকার সাজুর ঘাট এলাকায় বিজেপি কর্মী সুদর্শন প্রামানিকে নৃশংস ভাবে তৃনমুল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা খুন করে বলে অভিযোগ ওঠে।মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।তিনি পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার বার্তা দেন।পাশাপাশি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।এরপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।তিনি বলেন, আরামবাগ হিংসার জায়গা। রাজনৈতিকভাবে বহু মানুষের প্রাণ গেছে।

গত 40 বছর ধরে আরামবাগের মানুষ গণতান্ত্রিকভাবে ভোট দিতে পারেনি। ২০১৯ সালের প্রথম লোকসভা ভোটে মানুষ ভোট দিয়েছে। এখানকার মানুষ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাইছে। আর সেই জন্য তৃণমূল হিংসার রাজনীতি করছে। আমরা অবিলম্বে আমাদের সহকর্মী মৃত সুদর্শন প্রামাণিককে যারা নিশংস ভাবে খুন করেছে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। যদিও পুলিশ প্রশাসনের উপর বিজেপির কোনো আস্থা নেই বলে তিনি জানান। পাশাপাশি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনাকে উড়িয়ে দিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, একটা পরিবারের ওপর ছয় বার খুনের হুমকি দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।

তারপরেও কিভাবে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা উঠে আসে। তৃণমূল পরিকল্পনামাফিক এলাকা দখল করার জন্য বিজেপি কর্মীকেহত্যা করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাংলায় কোনো গণতন্ত্র নেই। খুনের রাজনীতি চলছে আরামবাগে। বিজেপি গণতান্ত্রিকভাবে রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে আরামবাগে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে। এদিন তিনি মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকা তুলে দেন।