অবতক খবর,৮ আগস্ট,নদীয়া:পিস্তল হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেতার ছেলের ভিডিও ভাইরাল। যদিও দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহিনুদ্দিন সেখ দাবি করছেন তার ছেলের খেলনা বন্দুক ছিল। তবে বিজেপি নেতৃত্ব এ বিষয়টি নিয়ে উঠে পড়ে নেমেছে। কালীগঞ্জ ব্লকের দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহিনুদ্দিন সেখ এলাকায় পরিচিত নাম। একইসঙ্গে প্রভাবশালীও। তার ছেলে বাপি সেখ পলাশি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সম্প্রতি এই যুবকের হাতে বন্দুক দেখা গিয়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, নাকাশীপাড়া ব্লকের বেথুয়াডহরি টোল প্লাজার ভেতরে দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহিনুদ্দিন সেখের ছেলে বাপি সেখ একটি হুডখোলা জিপ থেকে নামছে।একে একে একদল যুবক তার পাশে দাঁড়িয়ে পড়ছে। দেখা যাচ্ছে বাপি সেখ বন্দুক আঙুলের মধ্যে নিয়ে ঘোরাচ্ছেন। চারপাশে ঘেরা মাঠ, আলোয় ছড়াছড়ি। তার মাঝে বলিউড ফিল্মে ডনের স্টাইলে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে এভাবে ঘোরাফেরার দেখে অনেকেই ক্ষুব্ধ। তাদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে বলে কথা, তাকে তো দায়িত্বশীল হতে হবে। সে নিজেই যদি বন্দুক নিয়ে ঘোরায় তাহলে এলাকায় তার প্রভাব পড়বে। বিজেপির জেলার উত্তর সাংগঠনিক মিডিয়া কনভেনর সন্দীপ মজুমদার বলেন, যে ছবি

ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে দলবল নিয়ে টোলপ্লাজার কাছে রিভালবার ঘোরাতে ঘোরাতে তৃণমূল নেতার ছেলে মাস্ক ছাড়া এসেছে। কোভিড পরিস্থিতিতে মাস্ক নেই, প্রধানের ছেলে বলে কি ছাড়া? উচ্চ পর্যায়ে তদন্তের দাবি করছি। কোভিড পরিস্থিতিতে দলবলে বন্দুক নিয়ে কি ভাবে ঘুরছে? ওই এলাকায় ত্রাসের সঞ্চার এরাই করে। তাই বন্দুকটাও আসল। আমরা পুলিশের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এই ভিডিও ছড়িয়েছে ব্যাপক ভাবে। জানাগেছে, বকরি ঈদের সময় ভিডিওটি শ্যুট করা হয়েছে। দিনের বেলায় শ্যুট করা হলেও প্লাজার পরিবেশে ভিডিওতে রাত বলে মনে হয়েছে। তবে দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহিনুদ্দিন সেখ বলেন, আমার ছেলে ঈদের সময় টিকটক করার জন্য এই ভিডিও করেছে। ওই গাড়িটা বছর দুয়েক আগেই কেনা হয়। ছোট ছেলে বলে করে ফেলেছে। তবে ওটা আসল বন্দুক ছিল না। ছিল একটা খেলনা বন্দুক। বন্দুক যে নয় তার পক্ষে বলতে গিয়ে মহিনুদ্দিন সেখ আরও বলেন, ওটা নাইন এম বন্দুক হলে ওভাবে ঘোরাতে পারতো না। খেলনা বন্দুক ছিল। তবে ঠিক কাজ নয়। আসলে আশপাশের অনেকেই ইদানীং এ ধরনের ভিডিও করছে। সেসব দেখেই বাপি করে ফেলেছে। ঘটনার বিষয়টি চাউর হতে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দেবগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহিনুদ্দিন সেখ ও তার ছেলে বাপি সেখকে থানায় ডেকে পাঠায়। এ নিয়ে পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলে। পুলিশ বাপি সেখকে বকাবকি করে। একইসঙ্গে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে দেওয়ার বিষয়ে বলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওটা কোন বন্দুক ছিল না। চাইনিজ লাইটার ছিল। ওই লাইটার নিয়ে নেওয়া হয়েছে।