অবতক খবর,৩০ জুনঃ আজ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী নির্বাচন পরিচালনায় তৃণমূলের জেলা কমিটি ঘোষণা সম্বন্ধে বলেন যে বাচ্চা ছেলে কাঁদলে পরে তাকে ললিপপ দিই। আপনারাও দেন আমরাও দিই। অধীর বলেন তৃণমূল দলের ছেলেরা কেঁদেছে তাই ললিপপ দিয়েছে দিদি জানে এরা যত গর্জায় তত বর্ষায় না তাই এদেরকে ললিপপ দিয়ে থামানোর চেষ্টা করেছে বললেন অধীর।

তিনি বলেন না হলে হয়তো বড়সড় সিদ্ধান্ত নিত যারা এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের দম আছে তাই দিদি তাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করলেন সংযহতা করার বিনিময়ে তাদের ললিপপ দিয়েছে, বিনিময় কিছু দেননি। তিনি বলেন কিন্তু তাদের ধমকানিতে দিদির মাথা নিচু করেছে এটুকু বলা যেতেই পারে। কারণ যখন তারা ঘোষণা করে দিচ্ছে আমরা মানবো না তখন দিদির সেই দম নাই যে বলবে না মানলে যাও তার পরিবর্তে দিদি তাদের খুশি করার জন্য লালিপপ ধরেছেন বললেন অধীর। ওদের পঞ্চায়েত ভোট সম্বন্ধে আবারো বললেন যে দেখুন মানুষ যে সমস্ত জায়গায় প্রতিরোধ করতে পারবে সেই সমস্ত জায়গায় ভোট হবে আমাদের পুলিশের উপর কোনো বিশ্বাস নাই কারণ তৃণমূল পুলিশকে নিজেদের মতো ব্যবহার করার জন্য সব রকম চেষ্টা করবেন।

তিনি বলেন তাই প্রথম দিন থেকে আমরা বলছি এই পুলিশের উপর আমাদের ভরসা নেই। এই বাংলায় ভোটের একটি শর্ত মানুষের প্রতিরোধ, মানুষ যদি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে তাহলে এই ভোট হবে, আর মানুষ যদি প্রতিরোধ করে তুলতে না পারে তাহলে ভোট হবে না কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর যা সংখ্যা, প্রতি বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে উঠতে পারবেন না। তিনি আরো বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে যেহেতু রাজ্য পুলিশ সে কারণে কাকদ্বীপের বদলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কুচবিহারে নিয়ে যাবে।

সুতরাং সাগরদিঘী ভোটে যে সাহায্য তাদের কাছে পেয়েছিলাম এবার সেই সাহায্য পাওয়া যাবে না কারণ তাদের পরিচালনার দায়িত্বে রাজ্য পুলিশ। অনুব্রতর প্রসঙ্গ টানা হলে অধীর বলেন অনুব্রত তিহার জেলে, তাতে দিদির মাথাব্যথা নাই যেহেতু অনুব্রত বীরভূমের নেতা তাই তাকে সামনে রেখে ভোট করতে তো আপত্তি নাই। অধীর বলেন দিদিকে একবারও অনু অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন দিদির জন্য তো অনুব্রত কম টাকা কামিয়ে দেয়নি। অধীর বলেন দিদির কি উচিত ছিল না যে দিল্লিতে গিয়ে অনুব্রতকে একবার তিহার জেলে দেখে আসি কেমন আছে।

অধীর বলেন আপনার ভাই বীর সন্তান তাদেরকে আলেকজান্ডারের মতো সম্মান দেবেন বলেন তাহলে তিহার জেলে কেন যেতে পারছেন না বাংলার দিদিভাই। তিনি বাংলার তৃণমূল নেতাদের বলেন খুন-খারাপি করবার আগে একবার ভেবে দেখবেন দিদি কিন্তু সময়ের কোকিল। অধীর বলেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আজ প্রকট, তৃণমূলের যে অন্তরের কলহ যাতে নির্বাচনে আগে বিস্ফোরকের আকার না নেয়। তার জন্য তৃণমূল দল পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট বন্টন করলো শেষ দিনে। শেষ দিনে ৭২ হাজার সিম্বল জমা পরল তার একটি কারণ নমিনেশন শেষ হওয়ার আগে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বিস্ফোরণ না হয়। অধীর বললেন তাই নির্বাচনের আগে হোক পরে হোক যেটা হওয়ার সেটাই হচ্ছে। তৃণমূলের অন্তকলহে তৃণমূল খুন হচ্ছে। তৃণমূলের ক্ষমতার কুৎসিত প্রদর্শন করতে গিয়ে কংগ্রেস বাম বিরোধী দলের ওপর হামলা বাড়ছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান বাংলার মানুষ দেখতে পাচ্ছে এটাই তৃণমূল এটাই তৃণমূলের সন্ত্রাস বিরোধীদের পক্ষে।