সাজ্জাদ হোসেন আহমেদ :: অবতক খবর :: কোচবিহার :: ২৩মে ::    শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান হিতেন বর্মন, তারই বিধানসভা কমিটির সদস্য শীতলকুচি ব্লকের জনপ্রিয় নেতা সাহের আলী মিয়াকে দলবিরোধী কার্যের অজুহাতে গত ২২ মে শোকজ করেছেন।

এদিন বিধায়ক হিতেন বর্মন সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকে না জানিয়ে শীতলকুচির কয়েকটি অঞ্চলে সাহের আলী মিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কমিটি তৈরী করেছেন। পার্টীর চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে কোনো কমিটি তৈরী করা দল বিরোধী কাজ, তাই তাকে শোকজ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত সাহের আলী মিয়া ২৩মে শনিবার শীতলকুচি তৃণমূল পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, শোকজের যথাযথ উত্তর আমি দিয়েছি। বিগত ২০১৯ এর ২৩মে লোকসভার ফলাফল বেড়নোর পর বিজেপির আক্রমণে তৃণমূল কর্মীরা ঘরছাড়া হয়েছিল। দীর্ঘ আড়াই মাস বিজেপির অত্যাচারে কোনো কর্মীই বাড়িতেই থাকতে পারেনি। বিধায়ক হিতেন বর্মনকে বারবার জানানো সত্ত্বেও তিনি এক বারোও কর্মীদের পাশে এসে দাঁড়ায় নি। বরং তিনি সে সময় বলেছিলেন আমার বয়স হয়ে গেছে আমি আর রাজনীতি করবো না, তোমরা যেমন করে পারো ব্যবস্থা করে নাও। সেই দুর্দিনে যখন একের পর এক তৃণমূল শাসিত অঞ্চলগুলিকে বিজেপি দখল করে নিয়েছিল, এমনকি বিজেপির দাপটে তৃণমূল কর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে, কর্মীদের হাট বাজার পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেই কঠিন সময়ে বাধ্য হয়ে পার্টিতে আগুয়ান কর্মীদের নিয়ে অঞ্চল কমিটি তৈরী করে দেওয়া হয়। তারা দায়িত্ব দিয়ে জীবনকে বাজি রেখে তৃণমূলের হারানো জমিকে পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে আসে।

সাহের আলী বলেন, সেই সময় বিধানসভা কমিটি হয়নি, পরবর্তীতে বিধানসভা কমিটি হয়েছে, আমিও সেই কমিটির সদস্য, আমার কোনো ত্রুটি হয়ে থাকলে সেটা বিধানসভা কমিটিতে বসে আলোচনা করলেই হয়তো সেটা মিটে যেত, বিধায়ক তা করলো না কেন? বিধায়ক তথা দলের চেয়ারম্যান হিতেন বর্মন, বিষয়টিকে নিয়ে আলোচনায় না বসে উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়ে সমস্যাকে জটিল করে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন বলে সাহের আলী মিয়া পাল্টা অভিযোগ করেন।