অবতক খবর , রণজিৎ মন্ডল , উত্তর দিনাজপুর :-  ইসলামপুর:আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন বয়কট করার ঘোষণার পাশাপাশি তিস্তা প্রকল্পে জমি দিয়েও সরকারী চাকরি না পাওয়ায় আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসলামপুরের তিস্তা প্রকল্প অফিসের সামনে অবস্থান,ধর্ণা ও বিক্ষোভে সামিল হলেন ল্যান্ড লুজাররা । বুধবার এর জেরে সমস্ত অফিস চত্বরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে।

ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড লুজার ইসি ইউনিয়ন উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির ব্যানারে শত শত একর জমি হারাদের কার্ড তৈরির এক বছরের মধ্যে চাকরি দেওয়া এবং চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত মাসিক ভাতা প্রদান সহ বেশ কয়েক দফা দাবি নিয়ে ইসলামপুর তিস্তা প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলীকে স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন তারা। নয়বার স্মারকলিপি দিয়েও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ল্যান্ড লুজাররা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এদিন।সংগঠনের সদস্য তথা জমিহারারা জানান, তিস্তা প্রকল্পে জমি দিয়ে আদৌ চাকরি জোটেনি কয়েক দশকেও। তবে প্রতিবারই তাদেরকে মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। ওই দপ্তরে একশ কুড়িটি শূন্যপদ আছে কিন্তু সেখানে নিয়োগ করা হচ্ছে না তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও। তাই তারা তাদের দাবি পূরণ না হলে ভোট বয়কট এর পাশাপাশি আমরণ অনশনে সামিল হবেন। এমনকি যদি কোভিড ভ্যাকসিনের টিকা বাধ্যতামূলক করা হয় সেক্ষেত্রে তাঁরা তা বয়কট করবেন বলেও জানিয়েছেন।

তাদের অভিযোগ,এটা পরিষ্কার যে তিস্তা বিভাগ ও সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন। তারা জনগণের সমস্যা সমাধান করতে চান না। উল্লেখ্য,দেশের তৃতীয় বৃহত্তম তিস্তা প্রকল্পের জন্য জমি দেওয়ার পরেও এই ল্যান্ড লুজাররা বছরের পর বছর ধরে চাকরি পাননি, যার জন্য তারা নিরন্তর আন্দোলন করে চলেছেন। অন্যদিকে জনি হারাদের ধর্ণা অবস্থানকে সমর্থন করে সেখানে সামিল হন বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি সুরজিৎ সেন।তিনি জানান, বাম আমল থেকে জমি হারারা বিচার পাননি। এমনকি বর্তমান সরকারও এ বিষয়ে ব্যবস্থা করতে অপারগ।

অথচ সেই সময়ে জমির মূল্য ও চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। দশ থেকে বারো বছর ধরে লড়াই করলেও এদের কথা কেউ শুনছেই না। অনেকের চাকরির বয়সও শেষ হয়ে গেছে। তাই এদের দাবিকে আমরা সমর্থন জানাই। আগামীতেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা জেলার সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করানোর পাশাপাশি বিষয়টি তুলে ধরা হবে তার কাছে।যাতে এরা ন্যায্য পাওনা থেকে কোন ভাবেই বঞ্চিত না হয়।