অবতক খবর,৯ আগস্টঃ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে, এলাকার জঞ্জাল ও ড্রেন সাফাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, তারই মধ্যে ডেঙ্গি সতর্কতার বার্তা দিলেন হাসপাতাল সুপার।

বর্ষার শুরু হতেই জ্বর সর্দি কাশির রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। ২০১৭ ও ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর ভয়ংকর দৃশ্য দেখেছিল হাবড়াবাসী। মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েকজনের। পরে প্রশাসনের বাড়তি নজরদারিতে ডেঙ্গু কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। তবে ফের বর্ষার শুরুতেই ডেঙ্গুর ভ্রুকুটি হাবড়ায়। হাবড়া ও অশোকনগরে শহর গ্রামীণ এলাকা মিলিয়ে অন্তত ৩০জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাবড়া শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। শহরের প্রধান ড্রেন সহ গলির ড্রেনগুলিতে জল জমে বাড়ছে ডেঙ্গু মশার লাভা অনেক ড্রেনে প্লাস্টিক ও আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। যদিও এবিষয়ে পুরসভার তরফে সাধারণ মানুষের সচেতনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পাশাপাশি হাবরা পুরসভার পুরপ্রধান নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে হাবরা শহরের নতুন ড্রেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শহরে একাধিকবার প্লাস্টিক বন্ধের জন্য পুরসভা অভিযানে নামলেও তা বিফলে গেছে ,শহরের প্রধান ড্রেনগুলো দেখলেই তা স্পষ্ট। প্রতিনিয়ত স্প্রে করা ,ব্লিচিং ছেটানো, জঞ্জাল সাফাই এগুলো সেভাবে দেখা যায় না বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। হাবড়া ও অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যেমন চাপ বাড়ছে রোগীর তেমনি গ্রামীণ এলাকার হাসপাতালেও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এখনো বোর্ড গঠন না হওয়ায় ডেঙ্গু বা সাফাই অভিযানে সেভাবে এখনো নামতে দেখা যায়নি। প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসনের এমন গা ছাড়া মনোভাব থাকলে ডেঙ্গুর ভয়ংকর সেই দৃশ্য আবার ফিরে আসবে না তো!