অবতক খবর,১৮ জুন,ডায়মন্ড হারবার: ডায়মন্ড হারবারে ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ ঘটিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৮ বছরে নিজের সংসদীয় এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে শিক্ষার উন্নতি, হাসপাতাল থেকে খেলাধুলোয় অগ্রগতি-সবটাই সেরেছেন একেবারে নিঃশব্দে। শনিবার সেই কাজের খতিয়ান বা রিপোর্ট কার্ড পেশ করলেন অভিষেক।সব বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল: ১৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ফলতা-মথুরাপুর জলপ্রকল্পে তৈরি হবে। যা দেশের অন্যতম বৃহত্তম জল সরবরাহ প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম। উপকৃত হবে ৭.৯ লক্ষ মানুষ।

পাশাপাশি বজবজে অত্যাধুনিক ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। যার সুবিধা পাবেন সংসদীয় এলাকার অন্তত ৫ লক্ষ মানুষ।সুচিকিৎসার স্বার্থে ২০১৯ সালে তৈরি হয়েছে ডায়মন্ড হারবার সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ।১১৩.৫ লক্ষ টাকা খরচে এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। ভোকেশনাল শিক্ষার জন্য বানানো হয়েছে পলিটেকনিক কলেজ এবং আইটিআই প্রতিষ্ঠান।মহিলা ক্ষমতায়নে জোর দিতে তৈরি হয়েছে মহিলা হোস্টেল।

এমনকী, বাংলা আবাস যোজনায় ১২ হাজার ৯৭২ জন মহিলার মাথার ছাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষক, পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতাদের সুবিধার্থে দু’টি কৃষক বাজার তৈরি হয়েছে।করোনাকালে এই এলাকায় কল্পতরু ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যেখানে ১২ হাজার ৯৭২ পরিবারকে খাওয়ানো হয়েছিল। অতিমারীর তৃতীয় ঢেউয়ের সময় চালু হয়েছিল ডক্টর অন হুইলস। এমনকী, ওষুধ ও ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল মানুষের কাছে। গণ কোভিড পরীক্ষার কিয়স্কও তৈরি হয়েছিল।প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২ লক্ষ মানুষের জন্য ত্রিপল, খাবার এবং ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

বড়কাছারি, জয়রামপুর মন্দির এবং পীরতলা মাজহারের অলঙ্করণ এবং সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে।

সংসদীয় এলাকায় তৈরি হয়েছে ৩৮টি মাল্টিজিম, ৩ মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ২ খেলার মাঠ তৈরি হয়েছে। ২০২২ সালে যাত্রা শুরু করেছে ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব। বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় ১ হাজার ৩৯২ সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ১১৮.২ লক্ষ টাকা খরচে রাস্তায় আলো লাগানো হয়েছে।করোনা কালে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ সাড়া ফেলেছিল গোটা রাজ্যে। এবার সেই ধাঁচেই ডায়মন্ড হারবার এলাকায় শুরু হতে চলেছে নয়া পরিষেবা। যেখানে এক ফোনেই সাংসদকে অভাব-অভিযোগ জানাতে পারবেন ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দারা। শনিবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিষ্ণুপুরের এই পরিষেবার উদ্বোধন করতে চলেছেন খোদ সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।ডায়মন্ড হারবার এলাকার জন্য চালু হচ্ছে নয়া টোল ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭৷

সূত্রের খবর, এই নম্বরে ফোন করে নিজেদের অভাব অভিযোগ জানাতে পারবেন এলাকার বাসিন্দারা। সমাধানও হবে দ্রুত। পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘এক ডাকে অভিষেক’। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই সাংসদকে পাবেন সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার বাসিন্দারা। সাধারণত ভোটে জেতার পর এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের দেখা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল জমানায় অনেকাংশেই সেই ‘মিথ’ ভেঙেছে।

এই পরিষেবা চালু করে অভিষেক কার্যত প্রমাণ করে দিলেন, শুধুমাত্র নির্বাচনী রাজনীতি তিনি করেন না। বরং মানুষের পাশে দাঁড়াতেই ভালবাসেন এই জননেতা, এমনটাই বলছে তাঁর সংসদীয় এলাকার বাসিন্দারা।