অবতক খবর :: মোথাবাড়ি ::   টোটো বিস্ফোরণ কান্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটিত হোক দাবি করেছেন মৃত ইলিয়াসের পরিবার। ব্যাটারি গরম হয়ে বিস্ফোরণ না শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ, এখনও পরিষ্কার হয় নি। যদিও ব্যাটারি বিস্ফোরণের বিষয়টি মানতে পারছে না মৃত ইলিয়াস( ২৭) এর পরিবার। কারণ, ঘটনার মাত্র ১৪ দিন আগে টোটোর নতুন ৪টি ব্যাটারি কিনে ছিলেন তিনি। কী করে তা বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে, কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তাঁর পরিবার।

এদিকে টোটো বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি করেছেন ইলিয়াসের পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার মৃত ইলিয়াসের শোকাহত পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আসেন সংশ্লিষ্ট সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ আরিফ আলি ও অন্যান্য সদস্যরা। কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দেন এবং পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান ।

প্রধান বলেন, ‘‌খুব শান্ত, নীরিহ ছেলে হিসেবে গ্রামে পরিচিত ছিল ইলিয়াস । তাঁর মৃত্যুর ঘটনাটি কিছুতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। মৃতের পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি।’‌ জানা গেছে, বছর আড়াই আগে ইলিয়াসের বিয়ে হয়। স্ত্রী খাতিজা বিবি ও ৮ মাসের মেয়েকে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। ৩ ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট। তাঁর বাবা আতাবুল সেখ জানান, ‘‌বছর দুয়েক আগে ছেলে টোটো কিনেছিল। বাড়ির বলদ বিক্রি করে টোটোটি কিনে দেওয়া হয়েছিল। একটি প্লাইউড কারখানায় প্রতিদিন আসবারপত্র ক্রেতাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করত সে। বুধবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে গাজোল যাওয়ার কথা ছিল । তাই ভোরবেলা বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। পরে ছেলের মৃত্যুর খবর পাই।’‌

সফিকুল শেখের প্লাইউড কারখানার আসবারপত্র ক্রেতাদের বাড়ি পৌঁছে দিতেন। সফিকুল বলেন,‘‌শহরে ও ইলিয়াস সামগ্রী নিয়ে যেত। বাগবাড়ি থেকে কাঁচামাল নিয়ে আসত। বুধবার গাজোল থেকে ফিরে এসে শহরের মালঞ্চপল্লী এলাকায় ৩টি দরজা নিয়ে যায়। তার আগে বাগবাড়ি থেকে কিছু কাঁচামাল নিয়ে ঘোড়াপীর হয়ে ফিরছিল। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে বলে পরে আমরা খবর পাই।’‌