অবতক খবর,১৬ আগস্ট,বালুরঘাট: খেলা হবে দিবসের দিন তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নতুন দল গঠন নিয়ে আগের টিমের চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্টকে নিজেদের কোন্দলের জন্য লালকার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দিল দলনেত্রী।

পাশাপাশি নতুন দল গঠনে জেলায় সমস্ত বিভেদ ভুলে ও দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্লকস্তরের নেতৃত্বকে দলের প্রথম সারিতে নিয়ে এসে দলের কর্মীদের কড়া ভাবে সতর্ক করলেন তৃণমূল নেত্রী।

আজ বিকেলে দলের কলকাতার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নতুন দল গঠনের তালিকা প্রকাশিত করা হয়।
তাতে দেখা যায় একজন বাদে সব নতুন মুখ।
জেলায় তৃণমূলের নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন নিখিল সিংহ রায়।
সভাপতি পদে উজ্জল বসাক। এছাড়াও জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছেন প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। জেলা আই এনটিটিইউসি’র চেয়ারম্যান হয়েছেন রাকেশ শীল ও জেলা যুব প্রেসিডেন্ট পদে আগের বারের অম্বরীশ সরকারকেই স্থান দিয়েছেন দল নেত্রী।

এদিকে দলের চেয়ারম্যান ও সভাপতি করা হয়েছে এক ব্লক কুমারগঞ্জ থেকে।
দলের অন্দর মহলের খবর, নতুন জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বসাক, কুমারগঞ্জ ব্লকের দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিলেন। চেয়ারম্যান নিখিল সীংহ রায় পুরনো কমিটির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন। যেহেতু এবারের নির্বাচনে বিজেপির প্রবল হাওয়াকে রুখে দিয়ে কুমারগঞ্জ আসনটি নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে এদের নেতৃত্বে তার জন্যই তাদের পুরষ্কৃত করার পাশাপাশি ব্লকে দলকে মসৃন ভাবে পরিচালনার করার অভিজ্ঞতাকে নতুন ভাবে জেলায় কাজে লাগানোর জন্য দলনেত্রী এই দুই নেতৃত্বকে বেছে নিয়েছেন। তবে এখন দেখার গংগারামপুরের বিপ্লব মিত্রের অনুগামীরা এই নতুন কমিটিকে কি ভাবে স্বাগত জানায়।

যদিও দল এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভাবে জিতে আসার পর দলের ভেতর একপদ নীতি চালু করে ছিলেন দল নেত্রী। তাই স্বাভাবিক ভাবে এবারের রাজ্য মন্ত্রী সভায় বিপ্লব মিত্র স্থান পাওয়ায় তার চেয়ারম্যান পদটি হারাতে হবে সেটা সবার জানাছিল। অপরদিকে অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে গৌতম ঘোষকে দল নেত্রী জেলার সভাপতি পদে বসানোর পর ফের বিজেপি ছেড়ে বিপ্লব মিত্রের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার দিন জেলার বেশির ভাগ মানুষ জেনে গেছিলেন এবার গৌতম দাসের সভাপতি পদ টলমল হতে বেশি দিন আর বাকি নেই। তার উপর গৌতম দাস নিজের গংগারামপুর আসনটিতে হেরে যাওয়ার পর নাম না করে তার হেরে যাওয়ার পেছনে বিপ্লব মিত্রের হাতের কথা সংবাদ মধ্যমে জানিয়ে ছিলেন। বিপ্লব বাবু দলে ফেরার পর থেকে দলের সভা সমিতিতে ডাক পাওয়া নিয়ে দুই শিবিরের কোন্দল লেগেই রয়েছিল। তারপর থেকেই জেলা জুড়ে গুঞ্জন ছিল গৌতম দাসকে সরিয়ে তার জায়গায় নাকি বসতে চলেছেন মন্ত্রীর এক নিজের ভাই। কিন্তু দলনেত্রী আজ সেদিকে না হাটায় এখন দেখার নতুন কমিটিকে কি ভাবে মেনে নেয় গংগারামপুর গোষ্টী।সেদিকেই তাকিয়ে জেলার সব মহল।