অবতক খবর,৪ ফেব্রুয়ারি:  ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় ফের তৎপর সিবিআই। ঝাড়গ্রামে বিজেপি কর্মীকে খুনের মামলায় দুই মহিলা-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০২১-এর ২১ মার্চ ঝাড়গ্রামের নেতুড়া বাস স্ট্যান্ড এলাকায় খুন হন বিজেপি কর্মী তারক সাউ। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে কুপিয়ে খুন করে। ওই ঘটনায় ১৪ জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়।

অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে শোভারানি মণ্ডলকে খুনের মামলায় ২ জনের নামে হুলিয়া জারি করল সিবিআই। অভিযুক্ত ঝর্ণা মিস্ত্রি ওরফে মামণি ও প্রতিমা ঘোষ ওরফে মৌ জগদ্দলের বাসিন্দা এই দু’জনের জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযোগ, ২০২১-এর ২ মে জগদ্দলে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মীর মা শোভারানি মণ্ডলের।

এর আগে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগে আরও দু’টি মামলায় ফেরার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কোচবিহারের শীতলকুচিতে গত ৩ মে খুন হন এক বিজেপি কর্মী। ওই ঘটনায় দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছে সিবিআই। সেইসঙ্গে বীরভূমের নলহাটিতেও ১৪মে এক বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগে দুই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে হুলিয়া। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ফেরার অভিযুক্তদের গ্রেফতারে সাহায্য করলে ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

এরই মধ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। তদন্ত চালিয়ে গেলেও অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে নেওয়া যাবে না কড়া পদক্ষেপ, জানাল হাইকোর্ট। পাশাপাশি, আদালত জানিয়েছে, তদন্তে সিবিআইকে সহযোগিতা করতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। প্রয়োজনে নতুন করে নোটিস দিতে হবে সিবিআই-কে। দুর্গাপুরে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।