উমপুন,আমফান,আমপান
জনজীবন ছত্রখান।

ঝড়
তমাল সাহা

বড়লোকের মেয়েটি
ফ্ল্যাটের চৌদ্দ তলার ছাতে।
নিচের মানুষগুলি রয়েছে তখন
অনেক তফাতে।

সে দেখছে আর বলছে,
মা, দেখে যাও কি দুর্দান্ত ঝড়!
নিচে তখন ছুটছে পরিযায়ী মানুষ,
পোটলাপুঁটলি কাঁধে বেরিয়ে পড়েছে,
গঙ্গাপারে ঘর।

মা! মা! ওই দেখো
নারকেল গাছের মাথায় হল
কী ভীষণ বজ্রপাত!
নিচে মানুষ ছুটছে যত পারে দ্রুত
শহীদপল্লী স্কুলের দিকে—
লিখছে অন্য জীবনের ধারাপাত।

মা! মা! তাড়াতাড়ি এসো,
গাছের মাথায় জ্বলছে আগুন।
আমি জীবনে দেখিনি কখনো
মা! মা! দেখো, কী দারুণ!

অন্ধকারে আলোকিত অদ্ভুত আকাশ
উপকূলের মানুষ বেরিয়ে পড়েছে,
হাতে-কোলে শিশু, কপালে সর্বনাশ।

মা! মা! শোনো বাতাসের আশ্চর্য শব্দ,
কি দুরন্ত হাওয়া!
কোহিনূর যদি থাকত এখন,
এই পরিবেশে অন্য এক অভিজ্ঞতা
দুজনে চুমু খাওয়া।

নিচের ওরা ত্রাণ শিবিরে—
আপাতত পেয়েছে আশ্রয়।
দেখা যাক এর পরে কি হয়?

কিছু তো হবেই,
স্থানে স্থানে খুলবে লঙ্গরখানা।
হাজার হাজার বাটি বাড়িয়ে দেবে হাত,
ফ্যালফ্যালে চোখ বলবে—
দে না! জলজলে খিচুড়ি দে না!