অবতক খবর,১০ সেপ্টেম্বরঃ আজ জেলা বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন জেলা বিজেপি সভাপতি মাননীয় শাখারভ সরকার। গার্ডেনরিজে খাটের তল থেকে সাত কোটি টাকা উদ্ধার হওয়া সম্বন্ধে সাংবাদিকদের তিনি বললেন গার্ডেনরিজে কেন আমাদের গঙ্গার ধারে ও গাঙ্গের ধারে, মুর্শিদাবাদ জেলায় যেসব নেতা গুলো আছে তাদের বাড়িতে ঢুকলে কত কোটি টাকা পাবে তা আন্দাজ করেছে মুর্শিদাবাদ জেলার নাগরিকগণ।

শাখারভ সরকার বলেন, আপনাদেরকে আর কষ্ট করে গার্ডেনরিজে তাকাতে হবে না আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন জেলার গাঙের ধারে ও গঙ্গার ধারে যে নেতাগুলোর বাড়ি তাদের বাড়ি থেকেও কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হবে একটু অপেক্ষা করুন। তিনি বলেন ই ডি এবং সিবিআই ইতি পূর্বে মুর্শিদাবাদে হানা দিয়েছে কারণ ভারতবর্ষে অবৈধ কারবার জঙ্গিপনা সবকিছুতেই এমনকি দিল্লি বিস্ফোরণ হলেও জঙ্গিপুর, লালগোলা,জলঙি কোননা কোন জায়গায় এই কাজে যুক্ত মানুষদের এখানে এসে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন যে গরু পাচার কাণ্ডে যে ভাইকে ধরা হয়েছে তারপরে যেসব জেলার ভাইকে ধরল সেই এনামুল, সেও মুর্শিদাবাদের লোক ।তিনি বলেন আমাদের দুর্ভাগ্য মুর্শিদাবাদ আজকে তৃণমূলকে নিয়ে পরিচয় পাচ্ছে। শুধু তাই নয় বালি চোর, গরু চোর ও যেসব স্মগ্লিং হচ্ছে সে ক্ষেত্রেও মুর্শিদাবাদের যোগ আছে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ও যোগ আছে বলে তিনি বলেন।

শাখারভ সরকার বলেন যেদিন ১১ তারিখ অনুব্রত ধরা পরল সেদিন এই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় আমি ছিলাম সেদিন হঠাৎ দেখলাম অনুব্রত ধরার পরেই সেখানকার এমএলএ এবং আধিকারিক ও পুলিশ তাদের লাল বাতি, নীল বাতি গাড়ি নিয়ে চারিদিকে ঘোরাফেরা করছিল, কারণ তারা বুঝে গিয়েছে এরপর আমার বাড়ি নয় কোন সহকর্মীর বাড়ি প্রবেশ করবে ই ডি। তাদেরকে সেল্টার দেয়ার জন্যই দিদিমণি এই জেলায় সিআইডি পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন এইটা তদন্ত নয় সিবিআই এবং ইডির হাতে যাতে মূল্যবান তথ্য না ধরা পড়ে সেই কারণে সিআইডি দিয়ে মূল্যবান তথ্য এবং টাকা পয়সা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করছে।

তিনি বলেন দিদি যতই চেষ্টা করুক এই চোর নেতাদের তিনি বাঁচাতে পারবেন না, ধরা পড়বেই বললেন মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপি সভাপতি শাখারাভ সরকার।