অবতক খবর,৮ এপ্রিল,চাঁচল: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে টালমাটাল পদ্ম শিবিরও। জেলার সফরে কেন্দ্রীয় বিজেপির সহ সভাপতি উপস্থিত থাকাকালীন চাঁচলে পদ্ম শিবিরে ভাঙ্গন ধরালো তৃণমূল। বিধায়ক ও ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন প্রায় দুই শতাধিক সক্রিয় কর্মী। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে যথেষ্ঠ অস্বস্তিতে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল, যদিও এ যোগদান কে মিথ্যে বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

শনিবার দুপুরে চাঁচলে তৃণমূলের বিধায়কের দলীয় কার্যালয়ে চাঁচল-১ ব্লক নেতৃত্ব ও দলীয় বিধায়কের উপস্থিতিতে কলিগ্রামের পূর্ব,দক্ষিণ ও মধ্য এলাকা থেকে দীর্ঘদিন বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকা কর্মী-সমর্থকেরা প্রায় ২০০ টি পরিবার ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন।কলিগ্রাম অঞ্চল তৃণমূলের প্রধান রেজাউল খাঁনের নেতৃত্বে ও বিধায়কের হাত ধরে যোগদান করা হয়।

তৃণমূলের দাবি,কলিগ্রাম অঞ্চলে প্রায় ২০০ টি বিজেপি পরিবার এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়ে নাগরী দাস ও সহদেব দাস একযোগে জানান,দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিজেপির সঙ্গে ছিলাম।আমাদের এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য।তারা এলাকায় কোনো কাজ করেননি।

দলীয় কর্মসূচিতে দিলীপ বাবুর মতো বিজেপির নেতৃত্বরা যতবারই আসবেন।ঠিক ততবারই পদ্ম শিবিরে এই ধরনেরই বড়সড় ভাঙন দেখা দিবে বলে মন্তব্য করেন চাঁচলের তৃণমূলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ।

কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেজাউল খাঁন যোগদান প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বলেন,রাজ্যের তৃণমূল সরকার মানুষের স্বার্থে একাধিক জনমুখী প্রকল্প চালু করেছে।তারা বুঝতে পেরেছেন যে তৃণমূল ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।তাইতো তারা বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

যদিও ওই ঘটনায় পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা কলিগ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা সুভাষ কৃষ্ণ গোস্বামী। তিনি বলেন,দু’শো নয়,মাত্র দু’টি পরিবার যোগ দিয়ে তৃণমূলে।এতে বিজেপিতে কোনো প্রভাব পড়বেনা। আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে দলে টেনেছে তৃণমূল।